বোমা রাখল কে, পুলিশ অন্ধকারে নিজস্ব সংবাদদাতা |
চারতলা বাড়িটি ঘিঞ্জি এলাকায়। মেটিয়াবুরুজ থানা এলাকার মসজিদতলা লোহাগলির সেই বাড়িতেই রবিবার রাতে বোমা ফেটে প্রাণ হারালেন এক মহিলা-সহ দু’জন। রাত ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পাঁচটি শিশু-সহ গুরুতর আহত হয়েছেন ১০ জন। তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রাতেই ঘটনাস্থলে যান।
পুলিশি সূত্রের খবর, বোমা ফেটেছে একাধিক। ওই বাড়ির বাসিন্দাদের অধিকাংশই দর্জির কাজ করেন। একতলার যে-ঘরে বোমা ফাটে, তার পাশেই রয়েছে এক প্রোমোটারের অফিস। বিস্ফোরণে বাড়ির কিছু বাসিন্দা তো বটেই, বোমার স্প্লিন্টার লেগে আশপাশেরও অনেকে জখম হন। হাসপাতালের পথে মারা যান দু’জন। তাঁদের নাম রাবিয়া খাতুন (১৮) ও শেখ জাভেদ (২০)।
প্রশ্ন উঠেছে, ওই বাড়িতে বোমা গেল কী ভাবে? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অফিসারদের ধারণা, আগে থেকেই ওই বাড়িতে বেশ কিছু বোমা রাখা ছিল। এ দিন কয়েক জন সেই বোমা নিতে গিয়েছিল। তখনই প্রথমে কোনও ভাবে একটি বোমা ফেটে যায়। তার পরে একের পর এক বোমা ফাটতে থাকে। কারা ওই বাড়িতে বোমা রেখেছিল, গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ তা জানতে পারেনি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, ওই এলাকার কয়েকটি বাড়িতে বোমা বাঁধা হয়। |
শনিবার রাতেই প্রথম দেখা গিয়েছিল খাঁচাগুলো। একটা শিয়ালদহ বিগ বাজারের কাছে, অন্যটা হাওড়ায় অগ্নি মল-এর পাশে। রবিবার রাতেই মিলেছে আরও পাঁচখানা চাঁদনি চক, শ্যামবাজার, উল্টোডাঙা, পার্ক সার্কাস আর গড়িয়াহাট মোড়ে। বিশাল খাঁচাগুলোর সবক’টাই ভাঙা। গায়ে লেখা ‘লায়ন ইজ ব্যাক’। খাঁচাগুলো কোথা থেকে এল, কী ছিল তাতে কিছুই জানা না থাকায় হলুদ ফিতে দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সঙ্গে সাবধানবাণী: ‘ডু নট ক্রস দ্য লাইন’। এফএম চ্যানেলেও ছড়িয়েছে সতর্কতা। তা হলে কি সত্যিই এতগুলো সিংহ ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরের এখানে-ওখানে? কে-ই বা ফিরে এল?
কেউ কেউ ভয় পেয়েছেন। কেউ বা মনে খানিকটা বল এনেই ভাবতে চেয়েছেন, এ সব সিনেমার প্রচার হলেও হতে পারে। কিন্তু ঘটনাটা আসলে কী, তা রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। |
বহুতলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম সরসিজ তিওয়ারি (৩১)। পুলিশ জানায়, লখনউয়ের বাসিন্দা সরসিজ কলকাতার একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় কাজ করতেন। গড়ফা থানা এলাকায় একটি বহুতলের দোতলার ফ্ল্যাটে সাড়ে তিন বছর ধরে একাই থাকতেন সরসিজ। যে সংস্থায় তিনি কাজ করতেন, তাদের পক্ষ থেকেই ওই ফ্ল্যাটটি তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। রবিবার ওই বহুতলেরই চারতলার ছাদ থেকে পড়ে যান সরসিজ। পুলিশ জেনেছে, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ নিজের গাড়িতে অফিস থেকে তাঁকে আবাসন চত্বরে শেষবারের মতো ঢুকতে দেখা যায়। এ দিন, সকাল সওয়া ৬টা নাগাদ আবাসনের এক নিরাপত্তাকর্মী সরসিজকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। তবে এটি আত্মহত্যা কি না তা স্পষ্ট নয়। |
যৌন-নিগ্রহের অভিযোগে এক মার্কিন নাগরিককে গ্রেফতার করল কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের গুণ্ডা-দমন শাখা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে কেনেথ রাদারফোর্ড নামে ওই ব্যক্তিকে বেনিয়াপুকুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দেবীগ্রামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থারই এক কিশোরকে দীর্ঘ দিন ধরে যৌন-নিগ্রহ করতেন কেনেথ। ওই সংস্থাকে যাঁরা অনুদান দেন, তাঁদের কয়েক জন প্রতিনিধি ২০১০ সালে দেবীগ্রামে যান। তখনই ওই বিষয়টি প্রথম নজরে আসে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। শেষমেশ দিন কয়েক আগে ট্যাংরা থানায় কেনেথের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ওই কিশোর। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারায় ওই মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। |
বস্তি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন ৬৮ জন। পুলিশ জানায়, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ নোনাডাঙা বস্তির বাসিন্দারা বাইপাসের রুবির মোড়ে জড়ো হয়েছিলেন। বিক্ষোভ দেখানো শুরু করতেই তাঁদের মধ্যে ৬৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বস্তি উচ্ছেদ রুখতেই সম্প্রতি তৈরি হয়েছে বস্তি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। গত বুধবার সেই কমিটির নেতৃত্বে একটি মিছিলের উপরে লাঠি চালায় পুলিশ। লাঠির আঘাতে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা-সহ বেশ কয়েক জন আহত হন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মিছিল ঘিরে ওই গণ্ডগোলের পরে এ দিন পুলিশ অনেক বেশি ‘সাবধান’ ছিল। সে কারণে রবিবারের মিছিল ঘিরে কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আগেই আগাম ব্যবস্থা হিসেবে ৬৮ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। |
মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা বীণাপানিদেবীর (বড়মা) শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। শনিবার রাতে তাঁকে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে বলে ওই নার্সিংহোম সূত্রে খবর। কিছু দিন ধরেই জ্বর-সহ নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন চুরানব্বই বছরের ‘বড়মা’। শনিবার কয়েক জন চিকিৎসক গাইঘাটার ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে তাঁকে দেখতে যান। তাঁদের পরামর্শেই বীণাপানিদেবীকে কলকাতায় আনা হয়। |