মাস তিনেক ধরে খোঁজ মিলছে না বছর ১৪ এক আদিবাসী কিশোরের। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ, দুবরাজপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনীলের মা মুংলী মাড্ডির। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টিউশন পড়তে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সুনীল। তার পর থেকে তার আর খোঁজ মেলেনি। ছেলের খোঁজে রাত দিন এক করে ফেলেছেন বিধবা মা মুংলীদেবী।
মুংলীদেবী জানান, বহু বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পরে খুব কষ্টে এক মেয়ে ও এক ছেলেকে বড় করেছেন তিনি। গত বছর মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তার পর থেকে তাঁর একমাত্র ভরসা ছিল ছেলে সুনীল। এ বারেই সে অষ্টম
সুনীল মাড্ডি। |
শ্রেণিতে উঠেছে। তিনি বলেন, “যে দিন ছেলে নিখোঁজ হয় ওই দিনটা ছিল পৌষ মাসের শেষ বুধবার। মা পড়তে যাচ্ছি বলে সেই যে বাড়ি থেকে গেল, আর বাড়ি ফিরল না! তার পরে অনেক খুঁজেছি পাইনি। যেখানে পড়তে যায় সেখানে শুধু ওর বইয়ের ব্যাগটা রেখে গিয়েছিল। দিন কয়েক পর থেকেই আমার জামাইয়ের মোবাইলে একটি নম্বর থেকে ফোন আসা শুরু হয়। যে ফোন করছিল সে জানায় আমার ছেলে সুনীল ওর কাছে আছে। কিন্তু একবারও আমার ছেলের সঙ্গে কথা বলতে দেয়নি। ফলে ফোনটি কোথা থেকে করা হচ্ছিল বা ওই লোকটা আদৌ ঠিক বলছিল কি না জানি না।” তাঁর অভিযোগ, “এর পরেই দুবরাজপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি। সঙ্গে ওই ফোন নম্বরটিও দিয়েছিলাম। তার পর থেকে তিন-চার বার থানায় গিয়েছি। পুলিশ শুধু দেখব দেখছি করে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ছেলের খোঁজ পেলাম না।” স্থানীয় কাউন্সিলর ফকির বাউড়ির দাবি, “এ ব্যাপারে বহু বার আমিও পুলিশকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ।” যদিও অভিযোগ মানেনি দুবরাজপর থানার পুলিশ। তাদের দাবি, যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। |