|
|
|
|
তিস্তা নিয়ে মমতাকে সমর্থন |
আন্দোলনে বাম-সাংসদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
তিস্তা জলবন্টন চুক্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে উত্তরবঙ্গের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আন্দোলন করতে চান বালুরঘাটের আরএসপি সাংসদ প্রশান্ত মজুমদার। উত্তরবঙ্গের কৃষি ও কৃষকের স্বার্থরক্ষা করেই বাংলাদেশকে তিস্তার জল দেওয়া উচিত বলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একমত। সোমবার দলের জেলা কার্যালয়ে বসে তিনি বলেন, “দিল্লি উত্তরবঙ্গের সমস্যা বুঝবে না। তাই বাংলাদেশকে তিস্তার ৫০ শতাংশ জল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উত্তরবঙ্গের কৃষি নির্ভর মানুষ দুর্দশার মধ্যে পড়তেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র আপত্তিতে চুক্তি স্থগিত রয়েছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছিলাম। লোকসভায়ও বিষয়টি তুলেছিলাম। উত্তরবঙ্গের সব জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে উদ্যোগী হব।” চাষিদের থেকে সরাসরি ধান কেনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে দলের মধ্যে বিতর্কে মুখে পড়েছেন আরএসপি এই সাংসদ। এর রেশ না কাটতে না কাটতেই তিস্তা নিয়ে প্রশান্তবাবুর ফের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করায় দলের মধ্যে বিতর্ক আরও বেড়েছে। এদিন দলীয় কার্যালয়ে বসে ফোনে তাঁকে ধান কেনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসার ব্যাখ্যাও দিতে হয়েছে বিভিন্ন নেতাদের। প্রশান্তবাবুকে বলতে শোনা গিয়েছে, ধান কেনা নিয়ে অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চাইতে মমতা অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এই খাতে ৩১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এ দিন নতুন করে তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে দলীয় সাংসদের বক্তব্য সম্পর্কে আরএসপির জেলা সম্পাদক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপিএম জেলা সম্পাদক মানবেশ চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি আর্ন্তজাতিক। এই নিয়ে জেলা স্তরে কোনও নেতার মন্তব্য করাটা ঠিক নয়। যা বলার রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলবেন।” কিন্তু আরএসপি সাংসদ কোনও রাখঢাক না রেখে জানান, সম্প্রতি কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দেখাও করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু দেখা হয়নি। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী এবং দীপা দাশমুন্সিকে তিস্তা নিয়ে উত্তরবঙ্গের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলেছিলাম। সংসদ ভবনের সামনে ধর্নায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিনাম। আরএসপি-র এই প্রবীণ সাংসদের বক্তব্য, “কেরালায় নদী বাঁধ মেরামতি নিয়ে সকলে মিলে যদি আন্দোলন করতে পারে, তবে তিস্তা নিয়ে আমাদেরও সবাইকে একসঙ্গে মিলে জনমত তৈরি করা উচিত।” সাংসদের জানান, তিস্তার ৮০-র শতাংশ ভারতের মধ্যে। বাংলাদেশ ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ জল পেতে পারে। জল চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ সফরে উত্তরবঙ্গের জনপ্রতিনিধিদেরও পাঠানো উচিত। |
|
|
|
|
|