নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
অর্থের অভাবে থমকে গিয়েছে সজলধারা প্রকল্প। জলস্তর নেমে যাওয়ায় কুয়ো বা নলকূপ বসানো যাচ্ছে না। শুকিয়ে কাঠ পাহাড়ি ঝোরা। গরমের শুরুতে ডুয়ার্সের কুমারগ্রাম ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তীব্র হয়েছে জলকষ্ট। কয়েক কিমি ঘুরে নদী থেকে জল সংগ্রহ করছেন বাসিন্দারা। জলস্তরের খোঁজ করে গভীর নলকূপের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের তরফে মাটি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসন্তী কেরকাট্টা বলেন, “এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা বাড়ছে। সজলধারা প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য জেলা পরিষদ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। এ ছাড়াও গভীর নলকূপ বসানোর চেষ্টা চলছে।” গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের হাতিপোতা, চুনিয়া, ফাঁসখোয়া, রহিমাবাদ, ময়নাবাড়ির মত ভুটান পাহাড় সংলগ্ন এলাকাগুলিতে জলকষ্ট সবচেয়ে বেশি। স্থানীয় বাসিন্দারা যে সমস্ত পাহাড়ি ঝোরার উপরে ভরসা করেন সেগুলি শুকিয়ে ধুলো উড়ছে। তাই বাধ্য হয়ে জলের জন্য ছুটতে হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার দূরে ফাঁসখোয়া নদীতে। সেখানেও পর্যাপ্ত জল মিলছে না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিন বছর আগে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে জন্য ফাঁসখোয়া এলাকায় সজল ধারা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অর্থের অভাবে ওই কাজ এখনও শেষ হয়নি। পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পটির জন্য প্রয়োজন ২১ নক্ষ টাকা। কাজ শুরু করার পরে মিলেছে মাত্র ১০ লক্ষ টাকা। এর পরে আর টাকা আসেনি। তাই কাজ বন্ধ হয়ে আছে। ইতিমধ্যে রহিমাবাদ এলাকায় আরও একটি সজল ধারা প্রকল্পের দাবি উঠেছে। ওই দাবি কবে মিটবে সেই বিষয়ে কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি। প্রশাসনের কর্তারা জানান, কুমারগ্রামে জলকষ্ট এই প্রথম নয়। প্রতি বছর গরমে ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় জলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। জলস্তর কমে যাওয়ায় হাতিপোতা, চুনিয়া, ফাঁসখোয়া, রহিমাবাদের মত পাহাড় সংলগ্ন এলাকাগুলিতে কুয়ো এবং নলকূপ বসানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে জলকষ্ট মেটাতে অন্তত পাঁচটি সজল ধারা প্রকল্পের প্রয়োজন। এ বার এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জলকষ্টে ধুঁকছে। ওই বাসিন্দাদের ৯০ শতাংশ আদিবাসী সম্প্রদায়ের। স্থানীয় বিডিও শিলাদিত্য চক্রবর্তী বলেন, “ব্লকের কয়েকটি এলাকায় কুয়ো বা নলকূপ বসানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে জলের সমস্যা মেটাতে মাটি পরীক্ষা করে গভীর নলকূপ বসানোর মতো জায়গার খোঁজ চলছে।” |