চৈত্রের বিকেলে কালবৈশাখী ধেয়ে এলো পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায়। শনিবার বিকালে ঝড় বৃষ্টিতে দক্ষিণ পুরুলিয়ার কয়েকটি ব্লকে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বরাবাজারের সিন্দরি গ্রামে কয়েকটি বাড়ির খড়ের চালা উড়ে গিয়েছে। কিছু এলাকায় গাছও পড়ে গিয়েছে। বরাবাজারের বিডিও দেবজিত বসু বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির পুরো তথ্য পাইনি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” ঝালদায় অন্নপূর্ণা মন্দিরের উপরের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাঁকুড়া জেলার রানিবাঁধ, পাত্রসায়র, ইন্দাস প্রভৃতি এলাকাতেও গাছ উপড়ে যায়। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ায় রাত পর্যন্ত অনেক এলাকা অন্ধকারে থাকে। তবে এই সামান্য বৃষ্টি চাষবাসের পক্ষে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়া জেলা কৃষি উপ অধিকর্তা অনন্ত নারায়ণ হাজরা। তিনি বলেন, “বৃষ্টির পরিমাণ কম হলেও তাতে চাষের পক্ষে লাভই হয়েছে।”
|
বধূ খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। পুঞ্চা থানার মুকুন্দপুর গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামের বধূ অঞ্জনা বাউরির (২০) শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয়। বধূটিকে কীটনাশক খাইয়ে খুন করা হয়েছে বলে তাঁর বাবা ধরনীধর বাউরি শনিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সেই রাতেই পুলিশ বধূটির স্বামী রঞ্জিত বাউরি শ্বশুর মনীন্দ্র বাউরি ও শাশুড়ি পাথরা বাউরিকে গ্রেফতার করে। বধূটির বাপের বাড়ি পুঞ্চা থানার তালান্দারা গ্রামে। তাঁর বাবার অভিযোগ, “দু’বছর আগে মেয়ের বিয়ে হয়। তার পর থেকেই নানা অজুহাতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেয়ের উপর অত্যাচার করত। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের জন্য অঞ্জনা মাঝে মধ্যে আমাদের বাড়িতে পালিয়ে আসত। জামাইকে অনেক বুঝিয়েও পারিনি। শুক্রবার পড়শিদের কাছ থেকে জানতে পারি আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েকে মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে অঞ্জনা ইশারায় জানায়, শ্বশুর বাড়ির লোকেরাই তাকে কীটনাশক খাইয়েছে। সেই রাতেই ওর মৃত্যু হয়। অভিযুক্তদের দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। পারিবারিক অশান্তির জন্য ওই বধূ কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
|
সিপিএম কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর, লুঠপাট ও মারধরের পুরনো একটি মামলায় ইন্দাস থেকে আরও এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত মানিক ঘোষ ইন্দাসের ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকেই তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে। শনিবার বিষ্ণুপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বেতালন গ্রামে শতাধিক সিপিএম কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করে লুঠপাট চালানো হয়। ওই ঘটনায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রবিউল হোসেন, গৌতম বেরা-সহ ৪২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত বুধবার ইন্দাস থানায় রবিউল হোসেন আত্মসমর্পণ করেন। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই ঘটনায় মানিক ঘোষের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
|
বাড়িতে চোলাই মজুত রাখা ও বিক্রির অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে ইন্দাস থানার আকুই গ্রামের ঘটনা। ধৃত সুশীল রায়ের পশ্চিমপাড়ার বাড়ি থেকে ৪০ লিটার চোলাই ও চোলাই তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওসি তাপস দত্ত পুলিশকর্মীদের নিয়ে আকুই গ্রামে অভিযান চালান। উদ্ধার করা চোলাই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
|
বীরভূমের রাজনগরে বড়ঘাটা গ্রামে শনিবার রাতে ভস্মীভূত হয়ে গেল দু’টি মাটির বাড়ি ও একটি গোয়ালঘর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় কালবৈশাখী ঝড়ে উনুন থেকে কোনও ভাবে আগুন ছড়িয়েছিল। |