|
|
|
|
|
|
|
বাজেট পেশ হল সংসদে |
|
গত মাসের ১৬ তারিখ সংসদে বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। এই বাজেটে তিনি বেশি রাজস্ব আদায় করার জন্য পরোক্ষ করের ওপর জোর দিয়েছেন। উৎপাদন শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। কয়েকটি বাদে সব পরিষেবাকে পরিষেবা করের আওতায় আনা হয়েছে। আয়করে ছাড়ের পরিমাণ কিছু বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী। জানিয়েছেন, তার ফলে সরকারের ৪,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি রাজস্ব ক্ষতি হবে। অন্য দিকে, পরোক্ষ কর বাড়িয়ে বাড়তি ৪১,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আসবে রাজকোষে।
আয়কর হল প্রত্যক্ষ কর। আর উৎপাদন শুল্ক, পরিষেবা কর, আমদানি শুল্ক ইত্যাদি হল পরোক্ষ করা। দুটোর মধ্যে ফারাক কোথায়? দেশের নাগরিকদের মধ্যে যাঁদের আয় করযোগ্য, অর্থাৎ এখন বছরে দুই লক্ষ টাকার বেশি, সরকার তাঁদের কাছ থেকে সরাসরি কর আদায় করে নেয়। কারও বেতনের থেকে করের টাকা সরাসরি কেটে নেওয়া হয়, কেউ আবার বছরের শেষে মোট আয় হিসেব করে তার ওপর কর জমা করেন। এই ক্ষেত্রে কর যার থেকে আদায় করা হচ্ছে, করের বোঝাও তার ওপরেই চাপছে। অর্থাৎ, করের প্রত্যক্ষ প্রভাব আর চূড়ান্ত প্রভাব একই লোকের ওপর পড়ছে। একেই বলে প্রত্যক্ষ কর।
অন্য দিকে, উৎপাদন শুল্ক বা পরিষেবা করের মতো কর উৎপাদকরা সরকারের কাছে জমা করেন। করের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে তাঁদের ওপর। কিন্তু, এই করের বোঝা তাঁরা বহন করেন না। কোনও জিনিস কিনলে তার দামের লেবেলটা খেয়াল করে দেখো, সেখানে লেখা থাকে ‘ইনক্লুসিভ অব অল ট্যাক্সেস’ অর্থাৎ, সেই জিনিসটার দামের সঙ্গে করের অঙ্কটাও ধরে নেওয়া হয়েছে, কেনার সময় করটাও তোমাকেই মেটাতে হয়। অর্থাৎ, এই ক্ষেত্রে করের চূড়ান্ত প্রভাব পড়ছে ক্রেতার ওপর। যে করের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ প্রভাব আর চূড়ান্ত প্রভাব দু’জন আলাদা লোকের ওপর (বা আলাদা প্রতিষ্ঠান ও লোকের ওপর) পড়ে, তাকেই বলে পরোক্ষ কর। |
|
শ্রীলঙ্কায় লিবারেশন টাইগার্স |
শ্রীলঙ্কায় লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলমের (এলটিটিই) গেরিলারা দু’ দশক ধরে যে হিংসাত্মক হামলা চালাচ্ছিল, তার অবসান ঘটাতে সরকার সেনাবাহিনী দিয়ে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। যুদ্ধে উভয় পক্ষই চরম নৃশংসতার পরিচয় দেয়। গেরিলারা অসামরিক তামিলদের ঢাল হিশেবে ব্যবহার করে আত্মরক্ষা করতে গিয়ে বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যুও ঘটায়। যুদ্ধের অন্তিম পর্বে সেনাবাহিনীও ‘তামিল মাত্রেই গেরিলা’ এই মনোভাব নিয়ে ৪০ হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র নারীশিশুবৃদ্ধকে হত্যা করে। এলটিটিই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। কিন্তু নিরস্ত্র তামিল জনসাধারণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ শ্রীলঙ্কা সরকারের জয়ের সাফল্যে কাঁটা হয়ে ওঠে। যত দিন যায়, ততই রেডক্রস, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার রক্ষা সংগঠন, বিবেকবান সিংহলি সাংবাদিকরাও গেরিলা দমনের অজুহাতে সেনাবাহিনীর হত্যা-ধর্ষণ-অত্যাচার ও তা ঢেকে রাখতে সরকারের অপপ্রয়াসের নিন্দায় মুখর হতে থাকেন। যুদ্ধপরাধী হিসাবে প্রেসিডেন্ট মহেন্দ্র রাজাপক্ষে, তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনানায়কদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবিও ওঠে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে ধিক্কার ও সুবিচারের দাবিতে প্রস্তাব আনলে তার উপর ভোটাভুটি হয়। ভারত শ্রীলঙ্কার বন্ধু দেশ হলেও প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। স্বভাবতই শ্রীলঙ্কায় ভারতের প্রতি ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। |
|
আজকের পূর্ব মেদিনীপুরের |
আজকের পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক, প্রাচীন পূর্ব ভারতের সেরা বাণিজ্য বন্দর তাম্রলিপ্ত। শুধু বন্দর নয়, বিশাল একটি অঞ্চলেরই পরিচয় ছিল এই নামে। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে চিনা পরিব্রাজক ফা হিয়েন এখানে বাইশটি বৌদ্ধ বিহার দেখেছিলেন, আর সপ্তম শতকে হিউয়েন সাং দেখেন দশটি। কিন্তু এত দিনে এই অঞ্চলে কোনও বৌদ্ধ বিহার দেখা যায়নি, তাই এ সব বিবরণকে গল্প মনে করা হত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের (গুপ্ত সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ ছিল দণ্ডভুক্তি, তা সম্ভবত এই অঞ্চলকেই বোঝাত) মোগলমারি গ্রামে ২০০৩ থেকে উৎখনন করে ষষ্ঠ-সপ্তম শতকের যে বিশাল বৌদ্ধবিহারটির সন্ধান পেয়েছে, তা শুধু হিউয়েন সাঙের বিবরণকে সত্যি প্রমাণ করছে না, নালন্দা-বুদ্ধগয়া’র মতো বিখ্যাত বৌদ্ধ কেন্দ্র থেকে ওড়িশার জয়পুর-ললিতাগিরির মতো কেন্দ্র যে বাণিজ্যপথে যুক্ত ছিল তার উপরেই অবস্থিত এই বিহারটির বিপুল গুরুত্বও সূচিত করছে। ৩৬০০ স্কোয়্যারমিটার আয়তনের বিহারটি পশ্চিমবঙ্গে বৃহত্তম, শশাঙ্কের সমকালীন এই বিহারে স্টাকো (চুন-বালির তৈরি)-র যে সব চমৎকার বুদ্ধমূর্তি এ বারে পাওয়া গেছে, নালন্দার শিল্পশৈলীর সঙ্গে তার মিল আছে। গুপ্ত পরবর্তী বাংলার শিল্প-ইতিহাসেও তাই এটি মূল্যবান নিদর্শন।
|
সচিনের শত |
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে, প্রথম নথিভুক্ত সেঞ্চুরিটির কৃতিত্ব হ্যাম্পশায়ারের জন স্মলের। ১৭৭৫ সালে। তবে, ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগ পর্যন্ত, খুব কম ব্যাটসম্যানই এক ইনিংসে একশো রান করতে পেরেছেন। কারণগুলো আন্দাজ করা যায়। পিচের বেহাল অবস্থা, অসমান আউটফিল্ড, হেলমেট ছাড়াই বিষ বোলিংয়ের সামনে দাঁড়ানো ইত্যাদি। ১৮৭৭-এ টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম শতরানের মালিক হন অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ব্যানারম্যান। ১৮৮০-তে আসে দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে প্রথম সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ। রেকর্ডটি হয় ইংল্যান্ডের ডব্লিউ জি গ্রেস ও এ পি লুকাসের মধ্যে। এক দিনের ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় ম্যাচটিতেই (ষাট ওভার) শত রান করেছিলেন ইংল্যান্ডের ডেনিস অ্যামিস। টেস্ট ও এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দ্রুততম শতরান করেছেন যথাক্রমে ভিভ রিচার্ডস (৫৬ বল) ও শাহিদ আফ্রিদি (৩৭ বল)। আর একশোর একশো করে (টেস্টে ৫১টি ও এক দিনে ৪৯টি) এখনও নট আউট সচিন তেন্ডুলকর। ক্রিকেটে এশিয়া কাপ টুনার্মেন্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান করে টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেট মিলিয়ে একশোটি শতরান করার নজির গড়লেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান সচিন তেন্ডুলকর। এখন তাঁর টেস্টে ৫১টি আর ওয়ান ডে-তে শতরানের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯টি।
|
দরিদ্রের সংখ্যা কমল |
২০০৪-’০৫ সাল থেকে ২০০৯-’১০ অর্থবর্ষে দেশে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষের অনুপাত প্রায় ৭৪ বেসিস পয়েন্ট কমেছে বলে জানালো যোজনা কমিশন। পরিসংখ্যান মাফিক ২০০৪-’০৫ সালে দারিদ্রসীমার নীচে ছিলেন মোট জনসংখ্যার ৩৭.২ শতাংশ। ২০০৯-’১০ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৯.৮ শতাংশে।
|
ক্লোন নুরি |
বিশ্বের প্রথম পশমিনা প্রজাতির ছাগলের ক্লোন (সন্তান ও মায়ের জিন-এর গঠনের অনুরূপ) তৈরি করলেন ভারতের শের-ই-কাশ্মীর কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। নাম রাখা হয়েছে নুরি।
|
সৌমিত্র ফালকে |
ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ সরকারি সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
|
|
|
|
|
|