টাকা লেনদেন নিয়েই খুন, বলছে পুলিশ
গোপালনগরে রাজমিস্ত্রি খুনে ধৃত ১
পেশায় রাজমিস্ত্রি গোপালনগর থানার পাল্লা শ্মশানপাড়ার বাসিন্দা শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে স্থানীয় হরিশপুর থেকে নজরুল মণ্ডল নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়িও ওই এলাকায়।
গত ২৫ মার্চ রাতে পুলিশ ভবেরহাঁটি এলাকায় রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে থেকে গলার নলিকাটা অবস্থায় শৈলেন্দ্রনাথবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই দিন বিকেল ৫টা নাগাদ তিনি কাজ থেকে বাড়ি ফেরেন। রাত ৮টা নাগাদ তাঁর মোবাইল ফোনে একটি ফোন আসে। ফোন পাওয়ার পরে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। স্ত্রী ঝর্নাদেবী বলেন, “ফোন পাওয়ার পরেই আমার স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় বলে যান তিনি ভাণ্ডারখোলা এলাকায় যাচ্ছেন।” অনেক রাতেও না শৈলেন্দ্রবাবু না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু শৈলেন্দ্রবাবুর কোনও খোঁজ মেলেনি। পরে ভবেরহাঁটি এলাকায় রাস্তার ধারে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শৈলেন্দ্রনাথবাবু সুদের কারবার করতেন। অনেককে তিনি চড়া সুদে টাকা ধার দিয়েছিলেন। ধৃত নজরুলও তাঁর কাছ থেকে কয়েকবার সুদে টাকা ধার করেছিল। তার মধ্যে সে কয়েকবার টাকা শোধও করে দেয়। নজরুলকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, শেষবার সে ৪০ হাজার টাকা ধার নেয়। ওই টাকার কিছুটা সে শোধ করলেও নিহত শৈলেন্দ্রনাথবাবু হিসাবের খাতায় তা তোলেননি। উল্টে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। সেই কারণেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে নজরুল। সেইমতো সে বাজার থেকে দনি এবং দা কেনে। এর পরে ঘটনার দিন টাকা শোধ করে দেবে বলে শৈলেন্দ্রনাথকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। ভবেরহাঁটি রাস্তার ধারে শৈলেন্দ্রনাথকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে সে গলায় দড়ির ফাঁস আটকে দেয়। পরে গলায় দা দিয়ে কোপ মারে। খুনের পরে শৈলেন্দ্রনাথের মোবাইন ফোন নিয়ে নেয় নজরুল। তার পরে তার সিমকার্ড পাল্টে ফেলে নতুন সিমকার্ড লাগায়। কিন্তু মোবাইলের টাওয়ারের সূত্র ধরে শেষ পর্যন্ত তাকে ধরে ফেলে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.