বামফ্রন্টের মহামিছিলের পরেই, জগদ্দলে ফরওয়ার্ড ব্লকের দলীয় কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
জগদ্দলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনায় ফব নেতা হরিপদ বিশ্বাসের দাবি, ‘‘১৯৬৯ সাল থেকে নারায়ণপুর পুরনো ডাকঘরের কাছে আমাদের ওই দলীয় কার্যালয়টি রয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, “শনিবার বামফ্রন্টের মহামিছিলের পরে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী দলের পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে কার্যালয় দখল করে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। তাদের সামনেই ওরা আমাদের অফিস দখল করে জরুরি কাগজ ও জিনিসপত্রও নষ্ট করে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’ |
পক্ষান্তরে ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংহের, ‘‘হরিপদবাবুরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। ওটা অনেক দিন আগে থেকেই আমাদের দলীয় কার্যালয়। সম্প্রতি ঘরটি সারানোর কাজ শুরু হয়েছে।’’ ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান দীপনারায়ণ গোস্বামী বলেন, “পুলিশের সামনে ওই ঘটনা ঘটেনি। ওই কার্যালয়টি কোন রাজনৈতিক দলের, তা দেখা হচ্ছে।”
এ দিকে, হালিশহরেও তাঁদের দলীয় অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে
বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এ দিন অভিযোগ করেছেন জেলার সিপিএম নেতা অমিতাভ নন্দী।
যদিও তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, “জগদ্দল এবং হালিশহরের ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “সিপিএম জেলা নেতৃত্ব ওই এলাকায় অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছেন।” |