|
|
|
|
প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলে পড়াশোনার সাথী প্রযুক্তি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামনগর |
বিজ্ঞানকে আরও আকর্ষণীয় ও মনোগ্রাহী করে তুলতে কম্পিউটার, প্রোজেক্টরের সাহায্যে পঠন-পাঠন চলছে রামনগরের প্রত্যন্ত স্কুলে। বিজ্ঞান পড়ানোর অভিনব এই পদ্ধতিতে অভিভূত রামনগর-২ ব্লকের করঞ্জি সুভাষ বিদ্যাভবনের ছাত্র-ছাত্রীরা। ছেলেমেয়েদের আগ্রহ বাড়ছে দেখে খুশি অভিভাবকেরাও।
প্রত্যন্ত এলাকার এই স্কুল পরিকাঠামোর দিক থেকে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে। তা সত্ত্বেও আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠ দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই কৃতিত্ব দিচ্ছেন প্রধানশিক্ষক সুকুমার মিশ্র ও পরিচালন সমিতির সম্পাদক নন্দগোপাল পাত্র। স্কুলের এক শিক্ষক জানান, ইন্টারনেট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করে প্রোজেক্টরের সাহায্যে ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝানো হচ্ছে। দৃশ্য-শ্রাব্য মাধ্যমে মনোযোগ দিতে সুবিধা হচ্ছে পড়ুয়াদেরও। |
|
ছবি: সুব্রত গুহ। |
১৯৪৭ সালে স্কুলের প্রতিষ্ঠা। দীর্ঘ কয়েক দশক পরে ২০০৮ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেলেও পরিকাঠমোর বিশেষ কোনও উন্নতি হয়নি। যদিও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা জেলা ও রাজ্যস্তরের বিজ্ঞান-প্রদর্শনীতে একাধিক বার তাদের পারদর্শিতা দেখিয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে এই ভাবে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ছাত্রছাত্রীদের আরও বিজ্ঞানমুখী করে তুলবে বলে আশা স্কুল কর্তৃপক্ষের। পঞ্চম শ্রেণির চয়ন পাল ও অঙ্কিতা দাসের কথায়, “জীবনবিজ্ঞান বইয়ে ব্যাঙের জীবনচক্র কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। ক’দিন আগে স্যার ক্লাসরুমেই প্রোজেক্টর দিয়ে ব্যাঙের জীবনচক্র দেখিয়ে বুঝিয়ে দেন। আর কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।” জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক স্বদেশ সামন্তর কথায়, “আগে এক পিরিয়ড ধরে পড়িয়েও যা ছাত্রছাত্রীদের বোঝাতে পারতাম না, সেটাই এখন প্রোজেক্টরের মাধ্যমে খুব কম সময়ে বোঝানো যাচ্ছে।” প্রধানশিক্ষক সুকুমার মিশ্র বলেন, “ অন্য বিষয়গুলিও প্রযুক্তির সাহায্যে পড়ানোর চেষ্টা করছেন শিক্ষকেরা।” |
|
|
|
|
|