|
|
|
|
ঝাড়গ্রামে কঙ্কাল উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ঝাড়গ্রামের আউলগেড়িয়ার জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে মিলল কঙ্কাল। রবিবার বিকেলে মেলা ওই কঙ্কালটি স্থানীয় বাঁকশোল গ্রামের নিখোঁজ দিনমজুর মদন ওরফে ভক্তা মাহাতোর বলে দাবি করেছে তাঁর স্কুলপড়ুয়া ছেলে মানিক। কঙ্কালের সঙ্গেই মেলা পোশাকের অংশ দেখেই তার ওই দাবি। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মানিকের বক্তব্য, ২০১০ সালের ২০ নভেম্বর বাঁকশোল গ্রামের বাড়ি থেকে বছর পঞ্চাশের মদনবাবুকে মিটিং-এর নাম করে মোটরবাইকে চাপিয়ে নিয়ে গিয়েছিল মাওবাদী-জনগণের কমিটির লোকেরা। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য কঙ্কালটির ডিএনএ-পরীক্ষা করানো হবে।
বাঁকশোল গ্রামের সিপিএম কর্মী নীলাদ্রি মাহাতোর বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করতেন মদনবাবু। ২০০৯ সালের ১৭ জুন দিনেদুপুরে নীলাদ্রিবাবু-সহ ৩ সিপিএম কর্মীকে খুন করে মাওবাদীরা। আতঙ্কে ওই সিপিএম কর্মীর পরিবারের লোকজন গ্রাম ছেড়ে ঝাড়গ্রাম শহরে চলে আসেন। তার পর থেকেই নীলাদ্রিবাবুর বাঁকশোলের বাড়ি ও তাঁর জমিজমা দেখভাল করতেন মদনবাবু।
পুলিশ সূত্রের খবর, তিনি নিখোঁজ হওয়ার পরে আতঙ্কে প্রথমে পুলিশে অভিযোগ জানাননি পরিজনেরা। ২০১০-এর ৮ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মদনবাবুর স্ত্রী রেবতী মাহাতো। মানিকের বক্তব্য, “নীলাদ্রিবাবুর বাড়িতে কাজ করার জন্যই হয়তো মাওবাদীরা বাবাকে সন্দেহের চোখে দেখেছিল।”
নির্দিষ্ট সূত্রের থেকে মেলা তথ্যের ভিত্তিতে এ দিন আউলগেড়িয়ার জঙ্গলে যায় পুলিশ। ঝাড়গ্রামের বিডিও তথা এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপনারায়ণ ওঝার উপস্থিতিতে বৈদ্যনাথডিহি গ্রাম লাগোয়া এলাকায় জঙ্গলের এক জায়গায় মাটি খুঁড়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। |
|
|
|
|
|