|
|
|
|
পশ্চিমে গ্রামসড়ক যোজনা |
অনুমোদন সত্ত্বেও কাজ শুরু হয়নি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাস্তার অনুমোদন পেতেই সময় গড়িয়ে যায়। এক দফতর থেকে অন্য দফতরে ফাইল ঘোরে। কিন্তু, কেন্দ্রের অনুমোদন পাওয়ার পরেও প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনায় পশ্চিম মেদিনীপুরে ১২টি রাস্তার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। একের বেশি ঠিকাদার সংস্থা এ ক্ষেত্রে দরপত্র জমা না-দেওয়ার ফলেই এই পরিস্থিতি বলে ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট রুরাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সি সূত্রে খবর। এই প্রকল্পে জেলায় মোট ১৯টি রাস্তা তৈরির অনুমোদন মিলেছে। এর মধ্যে ৫টি রাস্তার জন্য বিভিন্ন কারণে দরপত্র আহ্বান করাই যায়নি। কিন্তু বাকি যে ১৪টি রাস্তার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, সেখানেও ঠিকাদার সংস্থাগুলি তেমন উৎসাহ দেখায়নি। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিশির মহাপাত্র বলেন, “১৪ টির মধ্যে মাত্র ২টি রাস্তার ক্ষেত্রে একাধিক দরপত্র জমা পড়েছিল। আশা করি, রাজ্য সরকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।”
গ্রামাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্যই গ্রামসড়ক যোজনা। এটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প। এই প্রকল্পে রাস্তা তৈরির জন্য আগে থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একগুচ্ছ প্রস্তাব এসে পড়ে রয়েছে জেলা পরিষদে। আগে এই প্রকল্প থেকে বহু মানুষ উপকৃতও হয়েছেন। যেখানেই সড়ক যোজনার রাস্তা হয়েছে, সেখানেই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। রুরাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সি সূত্রে খবর, জেলার যে ১৪টি রাস্তার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, তার মধ্যে গড়বেতা-৩ অর্থাৎ চন্দ্রকোনা রোড এলাকার এবং কেশপুর এলাকার একটি করে রাস্তার ক্ষেত্রে একাধিক দরপত্র জমা পড়ে। কিন্তু, বিনপুর-২ অর্থাৎ বেলপাহাড়ি, চন্দ্রকোনা-২, দাসপুর-১, ঘাটাল, গোপীবল্লভপুর-২, ঝাড়গ্রাম, মোহনপুর, সবং এলাকার ১৪টি রাস্তার ক্ষেত্রে মাত্র একটি করে দরপত্র জমা পড়ে।
এমনিতেই জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় রাস্তাঘাট ‘বেহাল’ বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি পাকা রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে। অথচ সংস্কার হচ্ছে না। ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। তার উপর একাধিক রাস্তার কাজ ‘আটকে’ যাওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, এক হাজারেরও বেশি বসতি রয়েছে, অথচ সংশ্লিষ্ট গ্রামে পাকা রাস্তা নেই, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে এমন বহু গ্রাম রয়েছে। রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর আলোচনার প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ এমন গ্রামের একটি তালিকাও তৈরি করেন। যেখানে উল্লেখ করা হয়, এক হাজার বসতি যুক্ত গ্রাম পাকা রাস্তায় জুড়তে গেলে প্রায় ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরি করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে রাস্তা তৈরি করতে হবে প্রায় ৪৯৫টি। ওই তালিকা নতুন সরকারের কাছে পাঠানোও হয়। জেলা পরিষদের এক আধিকারিক বলেন, “এই পরিস্থিতি নতুন নয়। ঠিকাদার সংস্থা কাজ করতে না-চাওয়ায় প্রায় প্রতি বছরই প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনায় রাস্তার কাজ শুরু করতে দেরি হয়। ফলে, সাধারণ মানুষের সমস্যা বাড়ে।”
রুরাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সি সূত্রে খবর, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকতে পারে। ওই বৈঠকে যদি সিদ্ধান্ত হয়, কোনও রাস্তার ক্ষেত্রে একটি ঠিকাদার সংস্থা দরপত্র জমা দিলে ওই সংস্থাই কাজ করতে পারে, তা হলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। না-হলে ফের সংশ্লিষ্ট রাস্তার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। জেলা পরিষদের এক আধিকারিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির ফলে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু, রাস্তা তৈরির আগে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কোথাও জমির সমস্যা দেখা দেয়। প্রয়োজনীয় জমি মেলে না। কোথাও আবার ঠিকাদার সংস্থাকে কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়।” অনেক সংস্থা মুনাফা তেমন হবে না বুঝে সড়ক যোজনার কাজে ‘উৎসাহ’ দেখায় না বলেও মত ওই আধিকারিকের।
স্কুলের অনুষ্ঠান। তাঁতিগেড়িয়া জিএসএফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল শনিবার সন্ধ্যায়। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সংগীত, নৃত্য, নাটক পরিবেশন করে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালতোড় কলেজের অধ্যক্ষ হরিহর ভৌমিক, ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, গোবিন্দ পান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শচীনকুমার ঘোষ প্রমুখ। |
|
|
|
|
|