|
|
|
|
|
নির্মীয়মাণ দুই কারখানায় দুই
ছবি দেখলেন রেলকর্তারা
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
|
একই জেলায় রেলের দু’টি প্রকল্প। শিলান্যাসও হয়েছে এক দিনে। কিন্তু সেগুলির অগ্রগতিতে ‘ফারাক’ চোখে পড়ল রেল-কর্তাদের।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি একই সঙ্গে হলদিয়ার হাতিবেড়িয়ায় ডিএমইউ ইঞ্জিন তৈরির কারখানা ও নন্দীগ্রামের জেলিংহ্যামে রেলের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানার শিলান্যাস করেন। রবিবার রেল-কর্তারা দেখলেন, হাতিবেড়িয়ায় কাজ দ্রুত গতিতে এগোলেও জেলিংহ্যামের প্রকল্প এখনও ততটা এগোয়নি।
এ দিন প্রথমে হাতিবেড়িয়ায় যায় রেল বোর্ড ও রেল বিকাশ নিগমের ১২ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার এ কে বর্মা, ডিআরএম (খড়্গপুর) রাজীবকুমার কুলশ্রেষ্ঠ, রেল বোর্ডের সদস্য কেশব চন্দ্র প্রমুখ। কেশব চন্দ্র বলেন, “এটি বিশ্বমানের প্রকল্প। রেল ও রেল বিকাশ নিগমের যৌথ প্রচেষ্টায় কাজ ভাল হচ্ছে। জিএম নিজে গুরুত্ব দিয়ে সব দেখছেন। নভেম্বরে কাজ শেষের কথা থাকলেও আমাদের আশা দু’-এক মাস আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।”
ইঞ্জিন ও কোচ তৈরির এই কারখানাটি হওয়ার কথা ছিল হাওড়ার সাঁকরাইলে। কিন্তু ২০১০ সালে সেখানে জমি-আন্দোলনের জেরে পিছু হঠে রেলমন্ত্রক। তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা তখন ঘোষণা করেন, হলদিয়া স্টেশনের পাশে রেলের অধিগৃহীত জমিতে গড়ে তোলা হবে ওই কারখানা। প্রথম পর্যায়ে ইঞ্জিন নির্মাণের কারখানা হবে ৪৬ একর জমিতে। ক্রমে গড়ে তোলা হবে সম্পূর্ণ কোচ ফ্যাক্টরি। প্রকল্পটি ৯৮ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার। এ দিন রেলকর্তারা প্রি-ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিং, পার্কিং জোন, কারখানা শেড ও ব্যাচিং প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন। কথা বলেন প্রকল্পের বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রেমকুমার লিহালার সঙ্গেও।
হাতিবেড়িয়ায় ঘণ্টা দু’য়েক কাটিয়ে নন্দীগ্রাম পৌঁছয় প্রতিনিধি দলটি। এখানকার জেলিংহ্যামে প্রায় ২০০ একর জমিতে বার্ন স্ট্যান্ডার্ড, স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (সেল) এবং রেলের সম্মিলিত উদ্যোগে কারখানা গড়ে ওঠার কথা। এক বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পের অগ্রগতি তেমন হয়নি বলে মেনে নিয়েছেন রেল-কর্তারা। রেল সূত্রের খবর, প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩-র মধ্যে। খড়গপুরের ডিআরএম বলেন, “সমস্যা কিছু নেই। আশা করছি, বছর দু’য়েকের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে।” |
|
|
|
|
|