মোহনবাগান ডেম্পোকে আটকে দেওয়ায় খুশি লাল-হলুদ কোচ ট্রেভর মর্গ্যান। কিন্তু আই লিগ তালিকায় ইস্টবেঙ্গলের দু’নম্বর স্থান মোটেই সুরক্ষিত নয়।
রবিবার সন্ধ্যায় সুভাষ ভৌমিকের হাত ধরে বড় জয় পেল চার্চিল ব্রাদার্স। তারা মারগাওতে ৫-২ হারাল প্রয়াগ ইউনাইটেডকে। বেটো আর হেনরি দু’টি করে গোল করেন। একটি গোল লালরিন্ডিকার। প্রয়াগের দু’টি গোল ইয়াকুবু ও জোসিমারের। কোচিতে পুণে এফসি ৩-০ হারাল চিরাগ কেরলকে। যার ফলে যুবভারতীতে পয়েন্ট খোয়ানো ওডাফারা নেমে এলেন পাঁচ নম্বরে। প্রয়াগ সাতে। মোহনবাগান এবং প্রয়াগ আই লিগের দৌড় থেকে প্রায় ছিটকেই গেল।
মর্গ্যান রবিবার সন্ধ্যায় বলেই ফেললেন, “ডেম্পো-মোহনবাগান ড্র করায় কিছুটা সুবিধা তো হলই।” কিন্তু বাস্তবে ইস্টবেঙ্গলের রাস্তা খুব মসৃণ নয়। ইস্টবেঙ্গলের ২২ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট। ডেম্পোর থেকে পিছিয়ে ছ’পয়েন্টে। চার্চিল এই মুহূর্তে ছ’নম্বরে থাকলেও তাদের পয়েন্ট ২১ ম্যাচে ৩৮। আর একটি জিতলেই তারা ধরে ফেলবে টোলগেদের। তাদের বাকি পাঁচ ম্যাচের মধ্যে দু’বার খেলতে হবে পৈলান অ্যারোজের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া রয়েছে ডেম্পো, পুণে ও চিরাগের বিরুদ্ধে ম্যাচ। সুভাষ অবশ্য এখনই অত দূরের চিন্তা করছেন না। তাঁর কথায়, “আমি একটা-একটা ম্যাচ ধরে এগোচ্ছি। ৫-২ জেতা নিয়েও ভাবছি না। চিন্তায় শুধু পরের ম্যাচটা।” পুণে ইস্টবেঙ্গলের সমান ম্যাচ খেলে ৪০। তার এক পয়েন্ট পিছনে সালগাওকর। করিম বেঞ্চারিফার দলের মতো মোহনবাগান রয়েছে ৩৯ পয়েন্টে। প্রথম লেগে যুবভারতীতে ০-০ ড্র হয়েছিল তাদের ম্যাচ। গোলপার্থক্যে মোহনবাগান তাই পাঁচ নম্বরে।
মর্গ্যান সব জেতার পাশাপাশি আশা করছেন, ডেম্পো তাদের ম্যাচগুলিতে পয়েন্ট হারাক। তাঁর জন্য আশার, লিগ দৌড়ে থাকা বাকি দলগুলির মধ্যে শেষ চার ম্যাচে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পাচ্ছে লাল-হলুদই। মেহতাব-টোলগেদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে মারগাওয়ে ডেম্পো। কলকাতায় স্পোর্টিং ক্লুবের সঙ্গে খেলা থাকলেও আই লিগের শুরুর ফর্মে আর নেই মোগা-কালুরা। এ ছাড়া এর পরের ম্যাচে মর্গ্যানের ছেলেরা খেলবেন চিরাগ কেরলের সঙ্গে। শেষ ম্যাচে এয়ার ইন্ডিয়া।
তবে করিম বেঞ্চারিফারও চিন্তার ম্যাচ বলতে শুধু মোহনবাগান। বাকি তিন ম্যাচে সালগাওকরকে খেলতে হবে পুণে, চিরাগ এবং লাজং-এর বিরুদ্ধে। |