আই লিগের দৌড়ে ছিটকে যাওয়ার খারাপ খবরের পাশে সান্ত্বনা পেলেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা। বহু নাটকের পরে টোলগে ওজবেকে পাওয়া প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল মোহনবাগান।
অস্ট্রেলিয়ান তারকা নিজে খবর শুনে বলছেন, “পুরো গুজব। এটা ঠিক খবর নয়।” কিন্তু ফুটবল মহলের খবর, টোলগের মোহনবাগানে দু’বছর চুক্তি হয়েছে। প্রায় পাকা সব কথাবার্তা। মোহনবাগানের কর্তারা অবশ্য এ নিয়ে মুখে একেবারে কুলুপ এঁটেছেন। কেননা সরকারি চুক্তির ব্যাপারটা আইনগত কারণে এখন বলা সম্ভব নয়। সচিব অঞ্জন মিত্র কালিম্পং থেকে ফোনে বলেন, “আমি এ নিয়ে এখন কিছু বলব না। যা বলার বলব কলকাতায় ফিরে।”
গত এক মাস ধরে টোলগেকে নিয়ে টানাটানি চলছিল তিন ক্লাবে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, প্রয়াগের টানাটানিতে টোলগের দাম উঠে যায় অনেকটাই। দেড় কোটির বেশি অর্থ নিচ্ছেন টোলগে। তিনিই হচ্ছেন ওডাফা ও র্যান্টির পরে সর্বোচ্চ মূল্যের ফুটবলার।
ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বললেন, “যা শুনছি, তাতে ও সই করেছে দেড় কোটিতে। তা হলে আর কী করা যাবে?” ইস্টবেঙ্গল এক কোটি কুড়ি লক্ষ দিতে রাজি হয়েছিল টোলগেকে। কিন্তু এর বেশি দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি ছিল অনেকের। কেননা তাতে চটে যাবেন পেন, ওপারা। টোলগেকে পেতে প্রয়াগ ইউনাইটেড কর্তারা রীতিমতো ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছিলেন। কিন্তু এ দিনও তাঁদের ঘুরিয়েছেন টোলগে। এত দিন বলছিলেন, “মোহনবাগান-ডেম্পো ম্যাচের পরে কথা বলব।” বলেছেন, “ইস্টবেঙ্গল-ডেম্পো ম্যাচের পরে কথা বলব।” ইস্টবেঙ্গলের মতো তাঁরাও বিভ্রান্ত। টোলগে লাল হলুদ কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন বৈঠক করেছেন। বলেছেন, বাবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব। কিন্তু ঝুলিয়েই রেখে দিয়েছেন পুরো ব্যাপারটা।
মোহনবাগানের হাতে ছিল ব্যারেটো, সুনীল ছেত্রীর জন্য আগের মরসুমে খরচ করা দুই কোটি টাকা। সেটাই কাজে লাগানো হচ্ছে টোলগের জন্য। টোলগের বাড়তি টাকায় ইস্টবেঙ্গলে অন্য ফুটবলারদের সমস্যা হলেও মোহনবাগানে সেই সমস্যা নেই।
ওডাফা ও টোলগেকে সই করানোর পরে মোহনবাগান কর্তাদের লক্ষ্য মাঝমাঠ এবং রক্ষণে এক জন বিদেশি। এ ব্যাপারে চলছে নানা নাম নিয়ে আলোচনা। টোলগে এশীয় কোটার ফুটবলার বলে তাদের বাড়তি সুবিধে থাকছে। তাঁকে সব সময়ই খেলানো যাবে। এশীয় কোটার নিয়ম আপাতত উঠছে না। |