|
|
|
|
কংগ্রেসের ‘অনাস্থা’ নিয়ে জল্পনা খড়্গপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ‘অনাস্থা’ আনতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করলেন খড়্গপুরের ১৫ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর। শনিবার কলকাতায় গিয়ে প্রদশ সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেস কাউন্সিলরেরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন খড়্গপুরের প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক জ্ঞান সিংহ সোহনপাল, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে। দলীয় সূত্রে খবর, প্রদেশ নেতৃত্ব ৭ দিন সময় চেয়েছেন। জেলা সভাপতির বক্তব্য, “প্রদেশ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবেন, দলীয় কাউন্সিলরেরা তাই-ই মানবেন।” রেলশহর খড়্গপুরে কংগ্রেস-তৃণমূলের সম্পর্ক কোনও দিনই ‘মধুর’ ছিল না। তবে, মাঝে দু’পক্ষের মধ্যে একটা ‘সমঝোতা’র বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। সেই সূত্রেই ২০১০-এ পুরভোটের পর তৃণমূলকে বোর্ড গড়তে বাইরে থেকে সমর্থন দেয় কংগ্রেস। কিন্তু দিনে দিনে সেই সম্পর্কও তলানিতে এসে ঠকেছে। গত বছরই পুরবোর্ডকে বাইরে থেকে সমর্থনও প্রত্যাহার করেন নেয় কংগ্রেস। কিন্তু তখনই তারা অনাস্থা আনেনি। সে ক্ষেত্রেও মূলত প্রদেশ নেতৃত্বের আপত্তিতেই অনাস্থা আনা থেকে পিছু হটেন রেলশহরের কংগ্রেস নেতৃত্ব। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। গত বছর দুই সিপিএম কাউন্সিলর যোগ দেওয়ায় এখন কংগ্রেসের দখলে ১৪টি ওয়ার্ড। আর তৃণমূলের দখলে রয়েছে ১৫টি ওয়ার্ড। এর বাইরে সিপিএম, সিপিআই, বিজেপি ও নির্দলদের দখলে রয়েছে যথাক্রমে একটি, তিনটি, একটি ও একটি ওয়ার্ড। কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনও রয়েছে তাঁদের সঙ্গেই। খড়্গপুরে আবার তৃণমূলের মধ্যেও ‘দ্বন্দ্ব’ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ‘অনাস্থা’ আনলে তৃণমূল-বোর্ড ধরে রাখতে পারবে না বলেই কংগ্রেস-শিবিরের বক্তব্য। দলীয় সূত্রের খবর, শনিবার প্রদেশ দফতরে খড়্গপুরের কংগ্রেস কাউন্সিলরদের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। কাউন্সিলরেরা তাঁর কাছে বোর্ডের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ জানান। তবে, প্রদেশ সভাপতি এখনই অনাস্থা-র ব্যাপারে ‘সবুজ-সংকেত’ দেননি। ৭ দিনের মধ্যে তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|