|
|
|
|
খানাকুলের গ্রামে মারামারি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
শনিবার রাতে খানাকুলের বন্দিপুরে দু’দল গ্রামবাসীর মারামারি বাধে। স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমালের জেরেই এই ঘটনা। জখম হয়েছেন ১২ জন। তাঁদের মধ্যে তিন জনের আঘাত গুরুতর। আহতদের আরামবাগ মহকুমা এবং খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। যদিও এই ঘটনায় কোনও পক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেনি। তৃণমূলের বিধায়ক ইকবাল আহমেদ বলেন, “দলের কর্মীদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। এটা গ্রাম্য বিবাদ।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বন্দিপুরের একটি রাস্তায় একশো দিনের কাজ প্রকল্পে বোল্ডার-মোরাম ফেলা নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। আরামবাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তৃণমূল কর্মী উত্তম চক্রবর্তীর অভিযোগ, “রাস্তায় বোল্ডার-মোরাম কম ফেলা হচ্ছে। তা নিয়েই প্রতিবাদ করেছিলাম। তারই জেরে কৃষ্ণপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল নেতা সন্দীপ বরের অনুগামীরা আমাদের মারধর করে।” অন্য দিকে, জখম দীপ্তেন্দু পালের অভিযোগ, “পঞ্চায়েতের সব কাজে বাধা দিচ্ছে দলের অন্য গোষ্ঠীর কর্মীরা। তার জেরে এ দিন বিবাদ হয়েছে।”
এ বিষয়ে সন্দীপ বরের বক্তব্য, “গ্রামের বিবাদে রাজনীতির রঙ দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে আমার কিংবা আমাদের সংগঠনের কোনও যোগ নেই।” দলের অন্য এক নেতা গৌরাঙ্গ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েতকে নিষ্ক্রিয় করে দলে থাকা কিছু দুষ্কৃতী রাস্তা নির্মাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে দুর্নীতি করছে। এ দিন গ্রামবাসীরাই তার প্রতিবাদ করেন।”
তৃণমূলের একাংশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরপুর-১ পঞ্চায়েতের কিশোরপুর, বন্দিপুর, বামনখানা-সহ সংলগ্ন গ্রামগুলিতে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল চলতেই থাকে। স্কুল পরিচালন কমিটির নির্বাচন, বোরো সেচ ব্যবস্থা এমনকী পারিবারিক বিবাদ মেটানো নিয়েও মাঝেমধ্যেই দু’পক্ষের বচসা হয়। |
|
|
|
|
|