|
|
|
|
হোসিয়ারি পার্ক পরিদর্শন |
শিল্পের জমিতে শুধু শিল্পই গড়তে হবে, জানিয়ে দিলেন পার্থ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যে শিল্পের জন্য নির্দিষ্ট জমিতে শুধু শিল্পই স্থাপন করতে হবে। কোনও ভাবেই অন্য কোনও কাজে সেই জমি ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার লিলুয়ায় একটি নির্মীয়মাণ হোসিয়ারি পার্ক পরিদর্শনে গিয়ে রাজ্য সরকারের এই নীতির কথা জানান তিনি। সেই সঙ্গেই শিল্পমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ওই হোসিয়ারি পার্কের জমি নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। পার্কটি গড়ে তোলা হচ্ছে পরিবেশ বাঁচিয়েই।
৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে লিলুয়ার জগদীশপুর পঞ্চায়েতের জয়পুরবিল এলাকায় ৯৬.৩৪ একর জমিতে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ড্রাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওই হোসিয়ারি পার্ক তৈরি করছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হোসিয়ারি পার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’। এই প্রকল্প রূপায়ণে খরচ হচ্ছে ১৪৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ৪০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী জানান, ওই হোসিয়ারি পার্ক তৈরি হলে ৪২০০ জন লোকের কর্মসংস্থান হবে। সেই সঙ্গেই পরোক্ষ ভাবে কাজ পাবেন অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এলাকার বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার উপরেই জোর দিয়েছেন পার্থবাবু।শিল্পমন্ত্রী বলেন, “এই হোসিয়ারি পার্কে কাজ করবে ১৬৭টি সংস্থা। এটি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। এখানে বছরে ১৪৭০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে। সরকারের রাজস্বও বাড়বে।”
তবে যে-জমিতে ওই হোসিয়ারি পার্ক তৈরি হচ্ছে, সেটি নিয়ে এ দিন শিল্পমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন নিহত তৃণমূল নেতা তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমাদেবী। গত ৬ মে জয়পুরবিলের জমিকে কেন্দ্র করে গোলমালের জেরে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন তপনবাবু। প্রতিমাদেবী এ দিন বলেন, “জয়পুরবিলের ১২০০ বিঘা জমিতে অনেক প্রকল্প হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তার সবই হচ্ছে জলাভূমি ভরাট করে। আমার স্বামী এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়েই খুন হন।” জয়পুরবিল এলাকার জমির ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন নির্দেশের কাগজপত্রও এ দিন শিল্পমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন নিহত নেতার স্ত্রী।
শিল্পমন্ত্রী অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, যে-জমিতে ওই হোসিয়ারি পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে, সেটিকে ঘিরে কোনও বিতর্ক নেই। তিনি বলেন, “এই অনুষ্ঠানে আসার আগে বিষয়টি শুনে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, এই জমিটিকে ঘিরে কোনও বিতর্ক নেই। যাঁরা পার্কটি তৈরি করছেন, তাঁরা পরিবেশ বাঁচিয়েই যা করার করবেন।” |
|
|
|
|
|