|
|
|
|
‘আরবান হাট’ চালু হবে শীঘ্রই, আশ্বাস এডিডিএ-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
অবশেষে ‘আরবান হাট’ চালু হতে চলেছে দুর্গাপুরে। শনিবার দুর্গাপুরে ‘হ্যান্ডলুম এক্সপো’-র উদ্বোধনে গিয়ে হাটটি পরিদর্শনে যান রাজ্যের সেচ, ক্ষুদ্রশিল্প ও টেক্সটাইলস্ দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থার (এডিডিএ) চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইতিমধ্যেই হাটের প্রায় তিনশো স্টল তৈরি হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আগামী দুর্গাপুর সফরে তাঁর হাত দিয়েই হাটটির উদ্বোধন করতে চান এডিডিএ কর্তৃপক্ষ।
এডিডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯-এ দিল্লি হাটের আদলে দুর্গাপুরে রাজ্যের প্রথম ‘আরবান হাট’ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সড়কের পাশে পলাশডিহায় শিলান্যাস করে যান তৎকালীন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। এই হাট নির্মাণের উদ্দেশ্য, মূলত পিছিয়ে পড়া এলাকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রকৃত বিপণন। সেই সঙ্গে ক্ষুদ্র ও হস্তশিল্প সামগ্রী বিক্রির জন্য স্থায়ী স্টল, লোক সংস্কৃতির প্রসারে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য একটি মুক্তমঞ্চ এবং শিশুদের বিনোদনের জন্য ‘চিলড্রেন্স কর্নার’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রকল্পের বাজেট ধরা হয় প্রায় ৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের হ্যান্ডিক্রাফটস্ ও হ্যান্ডলুম দফতর ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা করে, রাজ্য সরকার ২ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা দেবে বলে জানায়। অন্য দিকে, প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পাঁচ একর জমি ও ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল এডিডিএ। প্রকল্পের নোডাল এজেন্টও তারাই। শেষ পর্যন্ত ২০১০-এর জানুয়ারি মাসে শুরু হয় নির্মাণ কাজ।
কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২০১১ সালের ২০ জুলাই। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ অর্ধেকও শেষ হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। রাজ্যের নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও কাজ শুরু না হওয়ায় আদৌ হাটটি শেষ পর্যন্ত চালু হবে কি না তাই নিয়েই সংশয় দেখা দেয় বিভিন্ন মহলে। শেষ পর্যন্ত ২০১১-এর ১৬ নভেম্বর দিল্লিতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে নিয়ে আরবান হাটের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি বিষয়ক একটি বৈঠক আয়োজিত হয়। ঠিক হয়, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। শেষ পর্যন্ত কাজ শেষ হয় আরও মাস তিনেক পরে।
শনিবার এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন রাজ্যের সেচ এবং ক্ষুদ্রশিল্প ও টেক্সটাইলস্ দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি জানান, এই হাট চালু হয়ে গেলে পিছিয়ে পড়া এলাকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন তাঁদের সৃষ্টির প্রকৃত মূল্য পাবেন। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপসবাবু জানান, প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, “মোট তিনশোটি স্টল প্রস্তুত। দ্রুত হাটটি চালু করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়েই আমরা হাটটির উদ্বোধন করতে চাইছি।” প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল উদ্বোধনে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের। সেই সময় এই হাটটির উদ্বোধন সেরে ফেলতে চাইছেন এডিডিএ কর্তৃপক্ষ। |
|
|
|
|
|