বাসিন্দাদের ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদ করায় এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠল এক সাব-ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে। সুবিচার চেয়ে ডিওয়াইএফের উদ্যোগে এলাকাবাসী বোলপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধগোড়া এলাকায় রবীন্দ্রবীথি বাইপাসে রবিবার বিকেল ৪টে থেকে অবরোধ করেন। ঘণ্টা খানেক পরে পুলিশ এসে ওই অবরোধ তুলে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে এলাকার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কিছু ছাত্র মোটরবাইকে চেপে বোলপুর স্টেশনের কাছে রুটি খেতে এসেছিলেন। ওই সময় পুলিশ ওদের বিনা কারণে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। সেই সময় এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মহম্মদ। তিনি ওই ছাত্রদের পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স আনার জন্য নিজের সাইকেলটি এগিয়ে দেন। পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করেন ছাত্ররা এলাকারই। কোনও অপরাধী নয়। শেখ মহম্মদের অভিযোগ, “ওই ছাত্ররা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে এলে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়। শহরের দায়িত্বে থাকা সাব-ইনস্পেক্টর মানব চক্রবর্তী আমাকে বোলপুরের চৌরাস্তায় একা পেয়ে মারধর করেন।” |
তাঁর দাবি, “সেই সময় ওই ছাত্রদের সাহায্যে এগিয়ে এসে পুলিশের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করার জন্যই আমাকে মার খেতে হল।” আহত ওই যুবক এখনও বোলপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। শেখ মহম্মদ ঘটনার কথা স্থানীয় কাউন্সিলর আভা লোহারকে জানান। আভা লোহার বলেন, “শেখ মহম্মদ কোনও দুষ্কৃতী নয়। আমার ওয়ার্ডেরই একজন সাধারণ বাসিন্দা। এরকম ঘটনা একেবারেই অভিপ্রেত নয়।”
এ দিকে সিপিএমের বোলপুর জোনাল কমিটি সম্পাদক উৎপল রুদ্রের অভিযোগ, “শহরের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি বিপর্যস্ত। চুরি ছিনতাই ও নানা অসামাজিক কাজকর্ম বেড়েই চলেছে। তার প্রতিরোধে পুলিশ কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না। অথচ সাধারণ বাসিন্দাদের মারধর ও হেনস্থা করা হচ্ছে।” ওই পুলিশ অফিসারের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলে উৎপলবাবু বলেন, “মানুষ পুলিশের উপর আস্থা হারিয়েছে। তাই থানায় অভিযোগ জানানো হয়নি। আমরা বিষয়টি জানিয়ে মানব চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সোমবার বোলপুর আদালতে মামলা করব।”
অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে এসপি হৃষিকেশ মিনা বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |