টুকরো খবর
তার ছিঁড়ে পুড়ল বাড়ি, খড়ের গাদা
শনিবার সন্ধ্যায় দুবরাজপুরে দয়াল সেনগুপ্তের তোলা ছবি।
কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল। এক ঘণ্টার ব্যবধানে সাতটি জায়গা থেকে আগুন লাগার খবর আসে। তবে সর্বত্র দমকল পৌঁছতে পারেনি। ফলে কয়েকটি জায়গায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তার পরে আরও ৪টি জায়গাতেও আগুন লাগে। দমকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন মহম্মদবাজারের ভাঁড়াকাটায় খড়ের পালুই, সিউড়ি এসপি মোড়ে একটি পাকা বাড়িতে আগুন লাগে। সেখানে তেমন ক্ষতি না হলেও একই সময়ে পাথরচাপুড়ির একটি দোকান পুড়ে যায়। দমকলকে সেই আগুন নিভিয়েই ছুটতে হয় পাশের বড়ঘাটা গ্রামে। দু’টি খড়ের চালার বাড়িতে আগুন লাগে। ঘটনায় দু’টি গরু ও ছাগল মারা যায়। ওই একই সময়ে সিউড়ির কুলেরা ও ভুরকোনাতেও অগ্নিসংযোগ ঘটে। এই দুই জায়গায় দমকল পৌঁছতে পারেনি। তখন দমকল সাঁইথিয়ার শাকিড়াপাড়ের খেরোতে ছিল। একটি খড়ের পালুই পুড়ে যায়। এ ছাড়া, মহম্মদবাজারের জয়পুরে একটি খড়ি কোম্পানিতে খড়ের ছাউনিতে ও একটি চালা বাড়িতে এবং বক্রেশ্বরে একটি বাড়ি পুড়েছে। সিউড়ি দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, অধিকাংশ আগুনই বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে শর্ট সার্কিট থেকে লেগেছে। বেশি ইঞ্জিন ও দমকলকর্মী না থাকার কারণে একসঙ্গে প্রায় একই সময়ে সব জায়গায় পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। তবে জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “জেলার বিডিওদের কাছে যেটুকু রিপোর্ট পেয়েছি, তাতে এই ঝড় বৃষ্টিতে কোনও বড় ক্ষতি নেই।” এ দিকে, দিনকয়েক ধরে দিনের তাপমাত্রা বাড়ছিল। শনিবারের কালবৈশাখীতে তাপামাত্রা অনেকটা কমে গিয়েছে।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৩, জখম ১৫
চারটি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিনজনের। ১৫ জন জখম হয়েছেন। মৃতেরা হলেন-- ময়ূরেশ্বর থানার বীরচন্দ্রপুরের শেফালি কর্মকার (৪৮) এবং জার্মান শেখ (৩৫)। বাড়ি মুরারইয়ের লক্ষ্মীডাঙায়। রবিবার সন্ধ্যায় এক আত্মীয়ের মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন শেফালিদেবী। রামপুরহাট-তারাপীঠ রোডে মনসুবা মোড় সংলগ্ন এলাকায় পিছন থেকে ট্রাক্টর বাইকে ধাক্কা মারায় তাঁরা পড়ে যান। তখন শেফালিদেবীর উপর দিয়ে ট্রাক্টরটি চলে যায়। এ দিন সকালে একটি ট্রাককে পাশ কাটাতে গিয়ে মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে নলহাটি থানার নগড়ামোড় ও মহেশপুর ক্যানালের মাঝে বাস উল্টে ১৫ জন যাত্রী জখম হয়েছেন। বাসটি রামপুরহাট থেকে বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীদের অভিযোগ, একে রাস্তা খারাপ, তার উপরে গ্রুত গতিতে গাড়ি চলছিল। কিছুদিন আগে ওই রাস্তায় দু’জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, শনিবার সন্ধ্যায় মহম্মদবাজারের সোঁতশালে ট্রাক্টর উল্টে মারা মৃতু হয়। কালীদাস মুর্মু (৩০) ট্রাক্টর চালকের। বাড়ি ওই থানার তিলডাঙা গ্রামে। ওই দিন ভোরে মুরারইয়ের ভাদিশ্বর মোড়ে ইট বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় জার্মান শেখ নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

মাদক খাইয়ে লুট
কিছুদিন আগেই ট্রেনে আলাপ জমিয়ে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে এক দম্পতির সর্বস্ব লুট করা হয়েছিল। কবিগুরু এক্সপ্রেসের ওই যাত্রীদের রামপুরহাট স্টেশনে বেহুঁশ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছিল। শনি ও রবিবার পরপর দু’দিন ফের দুই বেহুঁশ যুবককে উদ্ধার করল রেল পুলিশ। তাঁদের মাদক মেশানো খাবার দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। রামপুরহাটে শনিবার গভীর রাতে রেল পুলিশ ফের কবিগুরু এক্সপ্রেস থেকেই জাহাঙ্গির শেখ নামে এক যুবককে বেহুঁশ অবস্থায় উদ্ধার করে। তাঁর বাড়ি নলহাটি থানার লোহাপুরে। অন্যদিকে রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ বর্ধমান-মালদহ প্যাসেঞ্জার থেকে সাঁইথিয়া স্টেশনে বাপি দাস নামে এক যুবকও অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি সিউড়ি এলাকায় বলে জানা গিয়েছে। রেল পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে দু’জনেরই সর্বস্ব লুট করা হয়েছে। প্রথমজনকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে এবং দ্বিতীয় জনকে সাঁইথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশের অনুমান, একটি চক্র কয়েকদিন ধরে সক্রিয় হয়েছে। তারাই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ দিকে, কেউ ধরা না পড়ায় যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

নলহাটিতে জখম দুই শ্রমিক
নির্মীয়মাণ গুদামের অংশবিশেষ ভেঙে জখম হলেন দু’জন শ্রমিক। সনৎ কোনাই ও ভদ্র মাল নামে দুই শ্রমিককে উদ্ধার করে প্রথমে রামপুরহাট হাসপাতালে পরে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে নলহাটি থানার সুলতানপুর গ্রাম লাগোয়া এলাকায়। কৃষি সমবায় সমিতির ধান, সার ও কৃষিজাত পণ্য রাখার জন্য ওই গুদাম তৈরি করা হচ্ছিল। ওই সমিতির ম্যানেজার অসীম সেন বলেন, “২০১০ সালের নভেম্বর মাস থেকে গুদাম নির্মাণের কাজ শুরু হয়। আরআইডিএফ প্রকল্পে গুদাম নির্মাণের জন্য ৫৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই জায়গা দান করেছিলেন। গুদাম নির্মাণ হলে এলাকার চাষিদের ধান বিক্রি ও সার কিনতে সুবিধা হবে।” তাঁর অভিযোগ, “গুদামটি ভালভাবে নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে বার বরা বলা হয়েছে। তারা ঠিত মতো দায়িত্ব পালন করেনি। যার জন্য এই অবস্থা।” ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার ইয়াদ আলির সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

ইলামবাজারে গণবিবাহ
নিজস্ব চিত্র।
সকলেই এসেছেন দুঃস্থ পরিবার থেকে। কেউ কেউ আবার অনাথও। কারও আর্থিক সঙ্গতি ছিল না। শেষ পর্যন্ত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে ইলামবাজার থানার মেটেকোনা গ্রামে শনিবার ওই গণবিবাহের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে সরকারি আইন মেনে ১২ জন মুসলিম মেয়ের বিয়ে হয় শেখ জাহাঙ্গির মণ্ডল, আলমগীর শেখের মত যুবকদের সঙ্গে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ ওমর জানান, নববিবাহিতদের জন্য খাট, বিছানা, বাসনপত্র থেকে শুরু করে জামাকাপড়েরও ব্যবস্থা করেছে। আসেনা, রাবেয়ারাও বলেন, “খুব ভাল লাগছে। এরকম একটি অনুষ্ঠান করে বিয়ের কথা কখনও ভাবতেও পারতাম না। ওই সংগঠন এ ভাবে পাশে দাঁড়ানোই আমরা কৃতজ্ঞ।” অন্য দিকে শেখ জাহাঙ্গির বলেন, “গণবিবাহের কথা জানতে পেরে সংস্থার কাছে আবেদন করি। তারাই দুঃস্থ বা অনাথ বেশ কিছু পাত্রীর খোঁজ দেন। তার পরে দুই পক্ষের মত নিয়ে গণবিবাহে যোগ দেওয়া ঠিক হয়।”

পাঁচিল ভেঙে মৃত্যু
বাড়ি লাগোয়া ফাঁকা জায়গায় খেলতে যাওয়ার পথে একটি ভগ্নপ্রায় বাড়ির পাঁচিল ভেঙে মৃত্যু হল তরুণের। মৃতের নাম মাহাফিজুর রহমান (১৭)। বাড়ি নলহাটি থানার লোহাপুরে রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। মাহাফিজুর মুর্শিদাবাদের পাঁচগ্রাম হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। কাকা তালেবুর রহমান ও আত্মীয়রা জানান, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে বন্ধুদের ডেকে নিয়ে খেলতে যাচ্ছিল। ওই পুরনো বাড়ি খুব শীঘ্রই সংস্কারের কাজ শুরু হত। শনিবারের ঝড়ে ওই বাড়ির কিছু অংশ ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। খেলতে যাওয়ার সময়ে ওই বাড়ির একাংশ তার উপরে ভেঙে পড়ে। উদ্ধার করে তাকে রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানিয়ে দেন।

পুড়ল বাড়ি
ভস্মীভূত হয়ে গেল দু’টি মাটির বাড়ি ও একটি গোয়ালঘর। শনিবার রাত ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে রাজনগরের চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের বড়ঘাটা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় কালবৈশাখী ঝড়ে উনুন থেকে কোনও ভাবে আগুন ছড়িয়েছিল। তাতে ভস্মীভূত হয় রাম বাউড়ি ও কাঠুরি বাউড়ির ঘর। তাঁরা জানান, যা কিছু ছিল সব শেষ। সংলগ্ন গোয়াল ঘরে দু’টি ছাগল পুড়ে মারা গিয়েছে। একটি গরুও জখম হয়েছে। দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসার আগেই যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। রাতেই রাজনগরের বিডিও প্রভাংশু হালদার গ্রামে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

অস্বাভাবিক মৃত্যু
ইলামবাজারে রবিবার সকালে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের কাছে এক ভবঘুরের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রায় একমাস ধরে ওই ভবঘুরে বেলেয়োঁ গ্রামের ওই যাত্রী প্রতীক্ষালয়েই থাকত। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের মাথায় ক্ষত রয়েছে। ময়না-তদন্তের জন্য দেহটি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.