বাঁধের জন্য চাষিদের কাছে জমি চান মন্ত্রী
ফুলহারের বাঁধ তৈরির জন্য কৃষকদের জমি দেওয়ার আবেদন জানালেন নারী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। সোমবার দুপুরে মালদহের রতুয়ার কাহালা-দেবীপুর এলাকায় গিয়ে ওই আবেদন জানান মন্ত্রী। ২০০৯ সালে রতুয়ার কাহালায় ফুলহারের বাঁধ ভেঙে পড়ার পর জমি জটে আটকে রয়েছে বাঁধ তৈরির কাজ। আগাম টাকা না পেলে জমি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন চাষিদের একাংশ। বাসিন্দাদের আপত্তির মধ্যে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। সম্প্রতি বিধানসভায় বিষয়টি তোলেন রতুয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। এ দিন এলাকায় যান সাবিত্রীদেবী। তিনি বলেন, “ভাঙন রোধের কাজ ভাল ভাবেই হচ্ছে। কেউ কেউ উসকানি দিয়ে কাজ বন্ধ করতে চাইছেন। বাঁধ তৈরির জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি মন্ত্রিসভায় পাশও হয়েছে। টাকা পেতে কিছু সময় লাগবে। তাই ভাঙন রোজের কাজ হচ্ছে। চাষিরা জমি দিয়েও টাকা না পাওয়ার যে কথা বলছেন, বামফ্রন্ট আমলের কথা।” ২০০৯ সাল থেকে ওই এলাকায় ফুলহারের ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। ৩ বছরে নদী বাঁধের দু কিলোমিটার তলিয়ে যায়। ভাঙন রোধে উদ্যোগী হন উত্তর মালদহের কংগ্রেসের সাংসদ মৌসম বেনজির নূরও। নাবার্ডের তরফে ভাঙন রোধের জন্য ৭ কোটি টাকা বরাদ্দও মেলে। চাষিদের একাংশ বেঁকে বসায় জমির সমস্যায় স্থায়ী বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করতে পারেনি সেচ দফতর। দুই মাস আগে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করে সেচ দফতর। পুরনো বাঁধের এলাকায় পাথর দিয়ে ভাঙন রোধের কাজ চলছে। তবে পাথরকে ঘিরে রিং বাঁধ না দিলে বর্ষায় তা বিপন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চাষিদের একাংশকে জমি দিতে রাজি করাতে পারেননি সেচ দফতর ও প্রশাসনের কর্তারা। এ দিন এলাকায় যান মন্ত্রী। চাষিদের কাছে বাঁধ তৈরির জমি দেওয়ার আবেদন করেন। ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে সমস্যা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন। স্থানীয় নিরঞ্জন মণ্ডল, শেখ জামালুদ্দিনরা বলেন, “আগে ফুলহার বাঁধ তৈরির সময় জমি দিয়েও পুরো টাকা অনেকে পাননি। এ বার আগাম টাকা না পেলে জমি দেওয়া হবে না।” নির্বাহী বাস্তুকার আশিস সাহু বলেন, “চাষিরা জমি দিতে চাইছেন না। তাই ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.