ভাগ্নি খুনের অভিযোগে ধৃত
মাছ রান্না নিয়ে গোলমালের জেরে মামা’র হাতে খুন হলেন ভাগ্নী। রবিবার সন্ধ্যায় ফালাকাটা রেল স্টেশন সংলগ্ন কলোনি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সোমবার ভোররাতে ফালাকাটা হাসপাতালে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম গীতা ধান (৩২)। ওই এলাকায় তাঁর বাড়ি। তাঁকে খুনের অভিযোগে গীতাদেবীর মামা ল্যাঙা ওঁরাওকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মাথায় পিড়ির আঘাতেই গীতাদেবীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, “মাছ রান্না না করায় ল্যাঙা ভাগ্নীকে পিড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। জেরায় ল্যাঙা মারার ঘটনা স্বীকারও করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।” পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের স্বামী অমসের ধান দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান। রবিবার সন্ধ্যায় গীতাদেবীর স্বামী বাজার করতে বাড়ির বাইকে যান। সেই সময় গীতাদেবী বাড়িতে একাই ছিলেন। কাজ না থাকায় তিনি মোবাইল ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় ল্যাঙা ওঁরাও মাছ, তরকারি নিয়ে ওই বাড়ি যান। তখনই তা রান্নার করার জন্য ভাগ্নিকে বলেন। মামার কথায় শোনার পরেও গীতাদেবী মোবাইলে কথা বলছিলেন। এতে ক্ষেপে গিয়ে ধৃত ল্যাঙা ভাগ্নিকে পিড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ। সেই সময় ল্যাঙার সঙ্গে তার ৪ বছরের ছেলেও ছিল। মহিলার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা আসেই ল্যাঙা ছেলে নিয়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই জখম মহিলাকে প্রতিবেশীরা ভ্যান রিকশায় করে ফালাকাটা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। এদিন ভোরে তিনি মারা যান। মহিলার স্বামী অমসের বলেন, “মামাশ্বশুর মাঝে মধ্যে আমাদের বাড়িতে বেড়াত আসত। কিন্তু এই ভাবে তিনি স্ত্রীকে খুন করবেন ভাবতেও পারছি না।” এদিন দুপুরে ফালাকাটা থেকে পুলিশ অভিযুক্ত ল্যাঙাকে গ্রেফতার করে। গীতাদেবীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ল্যাঙা ট্রাক চালকের কাজ করেন। এক সময় ফালাকাটার কলেজপাড়ার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে তিনি ছেলেকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় থাকেন। ট্রাকে ছেলে নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। মাঝেমধ্যে ফালাকাটায় এসে ভাগ্নীর বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করতেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.