আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা পঙ্কজ সিংহ। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে সোমবার শিলিগুড়ি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ১৮ মার্চ রবিবার রাতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটের সামনে ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য সমর্থকদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রাতেই পুলিশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতল থেকে ছাত্র পরিষদের নেতা তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক রোনাল্ড দেকে গ্রেফতার করে। জামিন অযোগ্য ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করায় তাকে জেলে যেতে হয়। পরে তিনি জামিন পান। অথচ অপর অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা পঙ্কজের বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য ধারায় অভিযোগ করা হয়। এবং তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে।
পঙ্কজকে গ্রেফতারের দাবি তুলে লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দেয় ছাত্র পরিষদ। এরই মধ্যে রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ছাত্র প্রতিনিধিদের ১১ জন ছাত্র পরিষদ ছেড়ে তাদের দলে যোগ দিয়েছে বলে দাবি করে তৃণমূল। ছাত্র পরিষদের তরফে এ দিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানানো হয়, যে ১১ জনের নাম বলা হয়েছে তার মধ্যে ৬ জন তৃণমূলে গিয়েছেন। যাদের গত ৭ মার্চ দলবিরোধী কাজের জন্য আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ১ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে তৃণমূল যে একটি আসনে জিতেছে সেই বিবেক সিংহ। তিনি তৃণমূলে থাকলেও দলে যোগ দিয়েছেন বলে নতুন করে দেখান হচ্ছে। অপর ৪ জন ছাত্র পরিষদেই রয়েছে। তাদের দু’জন সুবীর সাহা এবং বিশ্বজিৎ দেকে এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন। রোনাল্ড দে-সহ ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অমিত তালুকদার, অভিজিৎ রায় চৌধুরীরা সংবাদিক বৈঠকে ছিলেন। অমিত বলেন, “৪০ বছর পর এসএফআইকে হঠিয়ে ছাত্র পরিষদ ছাত্র সংসদ দখল করেছে। এখন যে সব তৃণমূল নেতারা নিজেদের জাহির করছেন এতদিন তারা কোথায় ছিলেন। এখন তারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাইছেন।”
এ দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিল করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য সমর্থকেরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় বলেন, “ভুলবশত সুবীর সাহা, বিশ্বজিৎ দে’র নাম বলা হচ্ছে। তাদের বদলে অন্য ২ জন ছাত্র প্রতিনিধি তৃণমূলে এসেছে।” তারা কারা তা অবশ্য বলতে পারেননি তিনি। |