বাসন্তীর হামলা রুখতে নির্দেশ দিল রাজভবন |
শাসক দল তৃণমূলই বাসন্তীতে আরএসপি-র সমর্থকদের উপরে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। সেখানে হামলা বন্ধ করা এবং আরএসপি-র কর্মী-সমর্থকদের নিরাপত্তার জন্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে রাজভবন। আরএসপি নেতা সুভাষ নস্কর সম্প্রতি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে চিঠি লিখে জানান, বাসন্তীর কুমড়াখালি গ্রামে আরএসপি-সমর্থকদের উপরে হামলা চালাচ্ছে সেখানকার তৃণমূলের সমর্থকেরা। তাঁর অভিযোগ, “নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে বাসন্তীর প্রায় দু’হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক আমাদের দলে ফিরে এসেছেন। তাঁদের উপরে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। উল্টে আমাদের নামেই মামলা ঠুকে দিচ্ছে।” পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে সুভাষবাবুর অভিযোগ। তাঁর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনকে বিষয়টি জানিয়ে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেন সূর্যবাবু। বিরোধী দলনেতার আবেদন পাওয়ার পরে রাজ্যপালের তরফে তাঁর সচিব চন্দন সিংহ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব জ্ঞানদত্ত গৌতমকে চিঠি দেন। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, কুমড়াখালির আরএসপি-সমর্থকেরা মনে করছেন, স্থানীয় পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
|
ডাকাতি করতে যাওয়ার পথে গ্রেফতার ৭ |
গাড়িতে করে ডাকাতি করতে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ল গাড়ির চালক সহ সাত দুষ্কৃতী। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির বাসমোড়ের কাছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সালাউদ্দিন গাজি, নবদুল মোল্লা, জসীমউদ্দিন মোল্লা, কচি শেখ, রাজু শেখ, রাজু মোল্লা ও গাড়ির চালক বেচু মণ্ডল। প্রথম পাঁচজনের বাড়ি ডায়মন্ড হারবার এলাকায় এবং রাজুর বাড়ি মগরাহাট এলাকায়। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি পাইপগান, পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ ও ছ’টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। আটক করা হয়েছে গাড়িটিকেও। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ছ’জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে গাড়িটি ডায়মন্ড হারবার থেকে কাকদ্বীপের দিকে যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কুলপি মোড়ের কাছে পুলিশ অপেক্ষায় ছিল। গাড়িটি মোড়ের কাছে আসতেই পুলিশ গাড়িটিকে ঘিরে ধরে। দুষ্কৃতীরা পালানোর চেষ্টা করলেও তাদের ধরে ফেল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, খুন সহ একাধিক অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে দুষ্কৃতী দলটি কাকদ্বীপে ডাকাতির উদ্দেশে যাচ্ছিল।
|
গাড়ি-ম্যাটাডর সংঘর্ষে মৃত্যু |
একটি গাড়ির সঙ্গে ম্যাটাডরের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক জনের। তিনি ওই গাড়িটির চালক। রবিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটে ক্যানিংয়ের তালদির রাজাপুর এলাকায়। মৃতের নাম দেবপ্রসাদ মণ্ডল (৩৮)। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার ৬ নম্বর ঘেরি এলাকায়। পুলিশ জানায়, ম্যাটাডরটি প্রচণ্ড জোরে আসছিল। মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় গাড়িটির সঙ্গে। গাড়িটিতে দেবপ্রসাদ ছাড়াও কয়েক জন ছিলেন। তাঁরা সামান্য জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেবপ্রসাদকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে তিনি মারা যান। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ম্যাটাডরটি আটক করেছে। চালক পলাতক।
|
ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক মোটরবাইক আরোহীর। জখম হয়েছেন তাঁর দুই সঙ্গী। রবিবার রাত ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে বনগাঁর রাখালদাস হাইস্কুলের কাছে যশোহর রোডে। মৃতের নাম তাপস রায় (২৪)। বাড়ি হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপস পেট্রাপোলে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। ওই রাতে তিন জনকে নিয়ে তিনি মোটরবাইকে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন। দুর্ঘটনায় মোটরবাইক থেকে চার জনই ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাপসের মৃত্যু হয়। বাকি তিন জনের মধ্যে আহত দু’জনকে প্রথমে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।
|
গঙ্গা থেকে মিলল এক বালকের দেহ। সোমবার, পানিহাটির সুখচর বালক ব্রহ্মচারী ঘাটে। মৃতের নাম প্রিন্স পটেল (১০)। খড়দহ শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। পুলিশ জানায়, রবিবার বিকেলে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় প্রিন্স। এ দিন দেহটি ভেসে ওঠে। |