|
|
|
|
প্রৌঢ়ের গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার গোপালনগরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোপালনগর |
ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হল এক প্রৌঢ়কে। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার ভবেরহাঁটি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, গলার নলিকাটা অবস্থায় শৈলেন্দ্র নাথ বিশ্বাস (৫২) নামে ওই প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি স্থানীয় পাল্লা শ্মশানপাড়ায়। একটি খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শৈলেন্দ্রবাবু পেশায় রাজমিস্ত্রি। রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ তিনি কাজ থেকে বাড়ি ফেরেন। রাত ৮টা নাগাদ তাঁর মোবাইল ফোনে একটি ফোন আসে। ফোন পাওয়ার পরে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। স্ত্রী ঝর্নাদেবী বলেন, “ফোন পাওয়ার পরেই আমার স্বামী বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় বলে যান তিনি ভাণ্ডারখোলা এলাকায় যাচ্ছেন।” অনেক রাতেও না শৈলেন্দ্রবাবু না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু শৈলেন্দ্রবাবুর কোনও খোঁজ মেলেনি। পরে ভবেরহাঁটি এলাকায় রাস্তার ধারে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। মৃতদেহের গলার নলি কাটা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শৈলেন্দ্রবাবুর ভগ্নিপতি মনোরঞ্জন রায় বলেন, “ভোরবেলা ভাণ্ডারখোলা এলাকার লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারি পুলিশ একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। খবর পেয়ে থানায় গিয়ে দেহ শনাক্ত করি।”
শৈলেন্দ্রবাবুর ছেলে শান্তনু একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার তার ইতিহাস পরীক্ষা ছিল। বাবা খুন হওয়ায় এ দিন সে পরীক্ষা দিতে পারেনি। ঝর্নাদেবী বলেন, “ওঁর কাছ থেকে কয়েকজন টাকা ধার নিয়েছিলেন। টাকা ফেরত চাওয়ায় মাঝেমধ্যে ওঁকে হুমকি দেওয়া হত। এই খুনের ঘটনায় ওদের হাত থাকতে পারে।”
দেহ উদ্ধার। কল্যাণীর তালতলা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। বয়স আনুমানিক ৩৫। |
|
|
|
|
|