|
|
|
|
এফসিআইয়ের চাল-গম উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গুদাম থেকে নিয়ে যাওয়ার পথেই রেশনের খাদ্যশস্য পাচার হওয়ার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। অনেক বারই পাচার হওয়া চাল-গম উদ্ধার হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এ বার মেদিনীপুর শহরের মধ্যেই পাচার খাদ্যশস্যের সন্ধান মিলল। রাঙামাটিতে এফসিআইয়ের গুদামের কাছে একটি বেসরকারি গুদামে স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় শুক্রবার রেশনের ১৪ বস্তা চাল উদ্ধার হয়। গুদামটি ‘সিল’ করেও দিয়েছিল পুলিশ। সেই ‘সিল’ করা গুদামে সোমবার তল্লাশি চালিয়ে মিলল আরও ৭৭ বস্তা পাচার হওয়া খাদ্যশস্য! ৭৫ বস্তা চাল আর ২ বস্তা গম। প্রতিটি বস্তাতেই এফসিআইয়ের ছাপ মারা। জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “তদন্ত করে আমরা পুলিশের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়ে দেব। এ বার পুলিশ তদন্ত করবে।” প্রশাসন সূত্রে খবর, এফসিআইয়ের গুদাম থেকে খাদ্যশস্য নিয়ে যাওয়ার পথেই চাল ও গমের বস্তা নামিয়ে দেওয়া হয়। আগে থেকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নেয়। গুদাম থেকে বেরোনোর পরেই লরি থেকে কয়েক বস্তা চাল-গম ফেলে দেওয়া হয়। রাস্তার ধারেই রয়েছে বেসরকারি গুদামটি। নিমেষেই রাস্তায় ফেলা বস্তাগুলি ওই গুদামে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়। এমনটাই চলে আসছে এবং রাজনৈতিক নেতা বা প্রশাসনের কিছুই অজানা নয় বলে দাবি সাধারণ সানুষের। গুদামের বাইরে পড়ে থাকা ১৪ বস্তা চালই শুক্রবার বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চাল-গম রেশনে দেওয়ার কথা। বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউটার সরকারি অনুমতি নিয়ে এফসিআই গুদাম থেকে খাদ্যশস্য তোলেন। তারপর তা বিভিন্ন ডিলারের কাছে যায়। সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে বণ্টন করার কথা। সাধারণ মানুষকে দেওয়া কম টাকার চালই মাঝপথে পাচার হচ্ছিল। যা খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রি করে মুনাফা করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। |
|
|
|
|
|