ইস্টবেঙ্গলেই থেকে গেলেন রাজু গায়কোয়াড়। জাতীয় দলের স্টপারের সঙ্গে দু’বছরের চুক্তি করে ফেললেন ক্লাব কর্তারা। রাজুর কাছে প্রস্তাব ছিল বেশ কয়েকটি ক্লাবের। টি এফ এ-র এই প্রাক্তন ছাত্র তাতে সাড়া দেননি। থেকে গেলেন লাল-হলুদেই।
রাজু নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল কর্তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন জাতীয় দলের আর এক স্টপার গৌরমাঙ্গি সিংহ বা প্রয়াগের অর্ণব মণ্ডলকে নেওয়ার। মহেশ গাউলির বয়স হয়েছে। তাই ডেম্পোও চাইছে গৌরমাঙ্গিকে নিতে। গৌরমাঙ্গি ও অর্ণবকে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে মোহনবাগান এবং প্রয়াগও। গৌরমাঙ্গি অবশ্য এখনও সিদ্ধান্ত নেননি। তবে প্রয়াগের মিডিও ডেনসন দেবদাসের মোহনবাগানে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত।
|
গৌরমাঙ্গি: এ বার চাহিদা তুঙ্গে। |
মারগাও যাওয়ার আগে এডে চিডি তাঁর এখানকার ঘনিষ্ঠদের সোমবার বলে গিয়েছেন, তিনি আবার কলকাতায় ফিরছেন। তারপরই রটে যায় চিডির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চূড়ান্ত কথা হয়ে গিয়েছে। কারণ মোহনবাগান এবং প্রয়াগ চিডির জন্য ঝাঁপিয়েছে এখনও এ রকম কোনও খবর নেই। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অবশ্য বলছেন, চিডির সঙ্গে চূড়ান্ত কথা হয়নি।
এ দিকে টোলগে ওজবেকে নিয়ে টানাপোড়েন অব্যহত। অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড আসলে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলার পর জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলতে। লাল-হলুদ কর্তারা নিশ্চিত অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার তাদের দলেই থাকবেনই। অন্য দিকে লুকিয়ে মোহনবাগান ও প্রয়াগ কর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেছেন টোলগে। কখনও বাইপাসের কোনও পাঁচ তারা হোটেলে, কখনও মোহনবাগান কর্তাদের বাড়িতে। তাঁর দর বেড়ে গেছে অনেক।
এদিকে, ইস্টবেঙ্গল পরের বার এক বিদেশি ফিজিও নিয়োগ করতে চলেছে। এ বছর কোচ ট্রেভর মর্গ্যান-সহ অন্য সহকারী কোচেরাই ফিজিক্যাল ট্রেনিং করাতেন। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “এক জন ভাল ফিজিও থাকলে টিমে এত চোট আঘাত হত না। যে ক’বার সাফল্য পেয়েছি প্রতিবারই দলের সঙ্গে ভাল ফিজিও ছিল।” তিনি জানান, বিদেশি ভাল ফিজিও-ই ক্লাবের পছন্দ। না পছন্দ না হলে স্বদেশি কাউকে নেওয়া হবে। |