রবিবার আই লিগে সালগাওকরের বিরুদ্ধে তিনি মাঠে নেমেছিলেন শুধু দুধ-পাউরুটি খেয়ে। মঙ্গলবার কলকাতা লিগে দিশাহারা টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধেও তিনি পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়েও মাঠে নামতে মরিয়া। তিনি পেন ইকেচুকু ওর্জি।
কলকাতা লিগের এখন এমন দুরবস্থা, যে মাঠে ইস্টবেঙ্গল খেলছে, সেখানে সকালে হচ্ছে অন্য এক ম্যাচ। সারা বাংলা কলেজ টুর্নামেন্ট ফাইনালে মঙ্গলবারই যুবভারতীতে খেলবে চারুচন্দ্র কলেজ ও নরসিংহ দত্ত কলেজ। বিকেলে আবার ইস্টবেঙ্গল বনাম টালিগঞ্জ।
টালিগঞ্জ ক’দিন আগে দল নামাতে পারবে না বলেও, শেষ পর্যন্ত খেলতে রাজি হয়েছে। আঠারো জন ফুটবলার জোগাড় করে দল তৈরি করাই তাদের সমস্যা। ইস্টবেঙ্গল কোচ মর্গ্যান আবার অন্য সমস্যায়। বলছিলেন, “কলকাতা লিগ পেতে আমাদের এই ম্যাচ জিততেই হবে। আবার শুক্রবারের মুম্বই এফসি ম্যাচের জন্য দলকে ফিটও রাখতে হবে। রবিবার দল ভাল খেলেছে শেষ ৪৫ মিনিট। সেটা ধরে রাখাই আসল।”
প্রায় উঠে যাওয়া, কোচহীন টালিগঞ্জের প্র্যাক্টিস দিতেন কর্মকর্তা মন্টু ঘোষ। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের আগের দিন প্র্যাক্টিসে হাজির ছিলেন প্রাক্তন গোলকিপার বিশ্বজিৎ দাস। টালিগঞ্জ ১৮ জনের দল জোগাড় করেছে কোনও রকমে। দলে একমাত্র বিদেশি এয়ার ইন্ডিয়ায় খেলে আসা ওকোরোগোর। তার উপর দুই নিয়মিত স্টপার চোটের কবলে। এক কথায় মোটিভেশন থেকে কয়েক মাইল দূরে। রবিবারের ম্যাচে টোলগে সামান্য চোট পেয়েছেন। পেন-এর পায়েও ব্যথা আছে। মর্গ্যান চাইছেন মঙ্গলবার একেবারে সুস্থ ফুটবলারদের নিয়ে প্রথম এগারো সাজাতে। দুই বিদেশি হয়তো পেন-ওপারা। বেঞ্চে টোলগে। অনূর্ধ্ব ১৯ ফুটবলার লেন।
টালিগঞ্জ ম্যাচ না শুক্রবারের মুম্বই এফসি ম্যাচ কোনটা বেশি গুরুত্বের? মর্গ্যানের সরাসরি উত্তর, “টালিগঞ্জ ম্যাচ। কারণ, এটা ট্রফির আরও কাছে।” |