ওডাফাদের সর্বনাশে এ বার ডেম্পোর পৌষ মাস
মোহনবাগান-২ (মনীশ মৈথানি, ওডাফা)
এয়ার ইন্ডিয়া-২ (মননদীপ-২)
ই লিগে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতে এক বিন্দুতে রইল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়ার ধাক্কায় লিগ জয়ের স্বপ্ন প্রায় ধুলিসাৎ হওয়ার মুখে মোহনবাগানের।
২১ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট কলকাতার দুই প্রধানের। ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর সুবাদে দু’নম্বরে থাকল মোহনবাগানই। দু’নম্বরে থাকা গেল। কিন্তু ডেম্পোকে ধাওয়া করা হল না।
পুণের ২-২ ম্যাচের পরে ফের কাঠগড়ায় উঠে আসছে মোহন-রক্ষণ। কিংশুক দেবনাথ এই মরসুমে সবচেয়ে ধারাবাহিক। আনোয়ারও পরপর কয়েকটি ম্যাচ ভাল খেলেছেন। সোমবার রাতে পুণের বলেওয়াড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্স-এ আনোয়ার চূড়ান্ত ব্যর্থ। কিংশুকও বর্ণহীন। আই লিগের প্রথম সাত দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল (২৭) হজম করল মোহনবাগান। সেই সঙ্গে এ দিন হলুদ কার্ড দেখে রবিবারের ডেম্পো-ম্যাচে থাকবেন না আনোয়ার। টিডি সুব্রত ভট্টাচার্য অবশ্য মনে করছেন এখনও আই লিগের আশা আছে। ফোনে বলছিলেন, “ফার্স্ট এর পর যারা সেকেন্ড-এ থাকে তারা তো চ্যাম্পিয়নশিপে থাকবেই। এখনই আশা শেষ, মানছি না।”
ভারতের এক নম্বর স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রী মাঠে থেকেও ছিলেন না। সারা ম্যাচে একটাই অবদানওডাফার গোলের সময় ফলস দেওয়া। বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে ওডাফার সেই গোলেই ২-২ করে মোহনবাগান। উল্টো দিকে নজর কাড়লেন এক ভারতীয় স্ট্রাইকার। জাতীয় কোচ স্যাভিও মিদেইরা ভাল দেশীয় স্ট্রাইকার উঠে আসছে না বলে অভিযোগ করেছেন। এ দিন মননদীপ সিংহ দেখালেন মাঝমাঠে বড় নাম না থাকলেও তিনি ভয়ঙ্কর হওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
২০ মিনিটের মাথায় ওডাফার পাশ ধরে শট নিয়েছিলেন মনীশ মৈথানি। যা এয়ার ইন্ডিয়ার স্টপার তাম্বার পায়ে লেগে উঁচু হয়ে গোলে ঢোকে। এক মিনিটের মধ্যে মননদীপ ১-১ করেন ব্যাকভলিতে। বলটা তিনি পেয়ে গিয়েছিলেন আনোয়ার হেড করে বল দূরে পাঠাতে না পারায়। বিরতির মিনিট সাতেক আগে ২-১ করেন মননদীপই। প্রকাশের শট পোস্টে লেগে মননদীপের পায়ে এসে পড়ে। তাঁর জোরালো শট কিংশুকের গায়ে লেগে ফের মননদীপের গায়ে লেগে গোলে ঢোকে। দু’টি গোলের সময়ই শিল্টনকে একটু নড়বড়ে লাগলেও মোহনবাগানকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচালেন তিনিই। বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোল দারুণ বাঁচালেন শিল্টন। শেষ মিনিটে সেভ না করলে হেরে ফিরতে হত। রক্ষণের দুর্বলতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুব্রত বললেন, “এত দিন পর অ্যাওয়ে ম্যাচে মনোঃসংযোগের অভাব হয়ই। এটাকেই তো ভয় পেয়েছিলাম। কলকাতায় খেললে এতটা সমস্যা হত না।”
আধ ঘণ্টা বাকি থাকতে ওডাফা ২-২ করার পর সুব্রত মরিয়া হয়ে অসীম বিশ্বাসকে নামিয়ে দেন। পরের মিনিট কুড়ি একটু প্রাধান্য দেখালেন ওডাফারা। এই সময়ে ওডাফার দুরন্ত শট পোস্টেও লাগে। তবে প্রথমার্ধের মতো বিরতির পরও স্নেহাশিস-রাকেশদের মিস পাসের বহর কমেনি। বারবার বলের দখল চলে যায় সন্তোষ কাশ্যপের দলের কাছে।
এই ম্যাচের পরে প্রশ্ন উঠল, ডেম্পো কি প্রায় নিশ্চিত চ্যাম্পিয়ন? শেষ পাঁচ ম্যাচে ডেম্পোকে গোয়ায় খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গল, স্পোর্টিং আর চার্চিলের সঙ্গে। কলকাতায় খেলতে হবে মোহনবাগান আর প্রয়াগ ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে। তিনটি জিতলেই তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মোহনবাগান: শিল্টন, সুরকুমার, আনোয়ার, কিংশুক, নবি, মনীশ মৈথানি, রাকেশ, প্রদীপ (অসীম), স্নেহাশিস (মনীশ ভার্গব), ওডাফা, সুনীল।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.