|
|
|
|
অশান্তির জের, দুর্গাপুরে সরে গেল সিআইএফ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এই মুহূর্তে সালুয়ায় ফেরানো সম্ভব নয়। পরিস্থিতি বিচার করে সিআইএফ (কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ফোর্স) জওয়ানদের তাই পাঠানো হল দুর্গাপুরে। সিআইএফের আইজি সিদ্ধিনাথ গুপ্ত সোমবার বলেন, “অস্থায়ী ভাবে ক্যাম্প সরানো হল।” |
|
সালুয়া থেকে সিআইএফ ক্যাম্প সরল দুর্গাপুরে। মেদিনীপুর থেকে দুর্গাপুরের পথে জওয়ানরা।- নিজস্ব চিত্র। |
চলতি মাসের গোড়ায় সিআইএফ এবং ইফএফআর (ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেল) জওয়ানদের বিরোধে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খড়্গপুরের সালুয়া। এখানে ইএফআর-এর সদর দফতর সংলগ্ন এলাকায় সিআইএফের দু’টি অস্থায়ী ব্যারাকে প্রায় দেড়শো জন জওয়ান ছিলেন। দুই বাহিনীর সংঘাত ঠেকাতে সিআইএফ জওয়ানদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। ছুটি শেষে জওয়ানদের কেউ কেউ রবিবার, কেউ এ দিন মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে কাজে যোগ দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে মেদিনীপুর পুলিশ লাইন থেকে তাঁদের দুর্গাপুরে পাঠানো হয়। দুর্গাপুরে রয়েছে আইআরবি-র সদর দফতর চত্বরে সিআইএফের অস্থায়ী ব্যারাক তৈরি হয়েছে। রবিবার সালুয়ায় যান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের স্ত্রী, গোর্খা নারী মুক্তি মোর্চার সভানেত্রী আশা গুরুঙ্গ। গোলমালের পরে সিআইএফ জওয়ানদের সালুয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, পাকাপাকি ভাবে কোথায় সিআইএফের ব্যারাক তৈরি হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। এক সময় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সালুয়াতেই এই ব্যারাক তৈরি হবে। সে জন্য জায়গাও চিহ্নিত হয়। কিন্তু বেঁকে বসেন ইএফআর পরিবারের লোকজন। তাঁদের উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে এই অভিযোগে আন্দোলন শুরু হয়। সালুয়ায় সিআইএফের স্থায়ী ব্যারাক তৈরির পরিকল্পনা কি আর রূপায়িত করা সম্ভব? সিআইএফের এক কর্তা বলেন, “এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।” |
|
|
|
|
|