রাজ্যের স্বার্থে সাংসদদের সরব হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ‘নির্দেশ’ মেনেই আজ বাজেট নিয়ে বিতর্কে রাজ্যসভায় মুখ খুললেন সুখেন্দুশেখর রায়। গত সপ্তাহে একই ভাবে লোকসভায় সরব হয়েছিলেন রত্না দে নাগও। এ দিন সুখেন্দুবাবু তুললেন আর্থিক ভাবে ধুঁকতে থাকা রাজ্যের প্রতি ‘কেন্দ্রের বঞ্চনা’র কথা।
সুখেন্দুশেখর এ দিন বলেন, “১৯১২ সালে দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তরিত হয়। তার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণ শুরু।” তাঁর বক্তব্য, “দেশভাগের সময়েও সব থেকে বেশি সমস্যার মুখে পড়তে হয় পশ্চিমবঙ্গকেই। বর্তমানে রাজ্য ঋণের ভারে জর্জরিত হলেও সেই অবস্থা থেকে বার হয়ে আসতে কোনও সাহায্য করা হচ্ছে না।” প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই নিয়ে দিল্লিতে দরবার করছেন মমতা। এমনকী, আগামী তিন বছর সুদ মকুবের আবেদনও করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও ফল মেলেনি।
প্রায় আট বছর আগে ঋণের ভারে পঙ্গু রাজ্যগুলিকে নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। সেখানে প্রথম দিকে ছিল পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব ও কেরল। সুখেন্দুশেখরের বক্তব্য, গত আট বছরে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে যে নতুন সরকার এসেছে, তাকে ঘুরে দাঁড়াতে গেলে কেন্দ্রীয় সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে।
একই সঙ্গে সুখেন্দুবাবু এ দিন সমালোচনা করেন কেন্দ্রের পণ্য পরিষেবা কর নীতিরও। আগামী অর্থবর্ষ থেকে সারা দেশে ওই কর চালু করার লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রক কেন্দ্রীয় বিক্রয় করের হার ৪ শতাংশ থেকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যগুলিকে। এর ফলে রাজ্যগুলির রাজস্ব ক্ষতিও মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ সুখেন্দুবাবু দাবি করেন, “ওই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের ১২ হাজার কোটি টাকা কম আয় হয়েছে। অথচ কেন্দ্র প্রতিশ্রুতি পালন করেনি।” |