নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও রাঁচি |
বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী অংশুমান মিশ্রকে বাগে এনে এ বার ঝাড়খণ্ডের সঙ্কট কাটাতে উদ্যোগী হলেন। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভা নির্বাচনে শরিক জেএমএম-এর প্রার্থীকে সমর্থন করার ব্যাপারে অরুণ জেটলি রাজি হলেও সুষমা স্বরাজের সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়াকে প্রার্থী না করার পর ক্ষিপ্ত সুষমা স্বরাজ ও তাঁর অনুগামীরা ঝাড়খণ্ড থেকে অংশুমান মিশ্রকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে বাধ্য করেন। অরুণ জেটলির উপস্থিতিতে যশবন্ত সিন্হা, অনন্ত কুমারদের নিয়ে বৈঠকে সুষমারা সিদ্ধান্ত নেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি রাজ্যসভায় ভোটদানে বিরত থাকবে। এর পর থেকে বিজেপির ভোট চেয়ে শরিক জেমএমএম নেতা ও রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন দিল্লিতে এসে দরবার করেন। ক্ষুব্ধ ও হতাশ অংশুমান এ দিকে বিজেপির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগতে থাকেন। জেটলি তাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর অবশ্য সুর নরম করেছেন অংশুমান। বিজেপির সব নেতাদের কাছে ‘নিঃশর্ত’ ক্ষমা চেয়ে নিয়ে নিখিত ভাবে তিনি জানিয়ে দিয়েচেন, বিজেপির সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক নেই তাঁর। এ নিয়ে আর কিছু বলতেও চান না তিনি। সংসদে আজ বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করার জন্য মুখিয়ে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেনাপ্রধানকে নিয়ে বিতর্কে সেটি ধামাচাপা পড়ে যায়।
অংশুমান-পর্বে আপাতত ইতি পড়তেই আজ জোটের স্বার্থে জেএমএমকে সমর্থন করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়ে উঠেছেন গডকড়ী। জেটলি সম্মতি দিলেও সুষমা এখনও তাঁর অবস্থানে অনড়। তাঁকে বোঝানোর জন্য জেটলি এখন মধ্যস্থতার ভূমিকায়।
বিজেপির সমর্থন না পেলে নিজের দলের প্রার্থী সঞ্জীব কুমারকে জিতিয়ে আনার ব্যাপারে হেমন্ত একেবারেই আশাবাদী নন। কারণ তাঁর দলের বিধায়করাই অন্য শিবিরে ভোট দিতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে।
তা ছাড়া, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব আবার নির্দল প্রার্থী আর কে আগরওয়ালকে জিতিয়ে আনতে চান। সুষমার বক্তব্য, “বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কা থাকাতেই তো ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বিজেপি সূত্রের মতে, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হলেও তার জন্য একটা জুতসই যুক্তিও খুঁজতে হবে বিজেপিকে। রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, আগামিকাল দিল্লিতে দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে দলের ঘোষিত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার বিষয়ে ফের আলোচনা হবে। |