|
|
|
|
পরিচালন পর্ষদের বৈঠক আজ |
শিল্পমন্ত্রীকে পেট্রোকেমের চেয়ারম্যান করা নিয়ে জল্পনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আজ হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস-এর পরিচালন পর্ষদের বৈঠক। পরিচালন পর্ষদের অতিরিক্ত সদস্য হিসেবে শিল্পমন্ত্রীর এটাই প্রথম বৈঠক। এবং তাঁর সুবিধার জন্য এই বৈঠক রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের দফতরেই হচ্ছে। এই বৈঠকের আগের দিন সোমবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস-এর অন্যতম কর্ণধার পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক হয়।
মহাকরণের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে কোনও পক্ষই মুখ খুলতে চাননি। বণিকসভা সি আই আই-এর তৎকালীন মেন্টর তরুণ দাস হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস-এর চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান ২০১১ সালে। তারপর থেকে পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় পরিচালন পর্ষদের বৈঠকগুলিতে অস্থায়ী চেয়ারম্যানের ভূমিকা পালন করে আসছেন। ‘আর্টিকল অফ অ্যাসোসিয়েশন’ অনুযায়ী সংস্থার স্থায়ী চেয়ারম্যান পদের নিয়োগ সবর্সম্মতিক্রমে হতে হবে। নতুন সরকার আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত সংস্থার পরিচালন ব্যবস্থা নিয়ে নতুন সমঝোতার কোনও জায়গা তৈরি হয়নি।
আজ মঙ্গলবার তাই সবার চোখ রয়েছে পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকার দিকে। উল্লেখ্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও সংস্থার পূর্ণ ডিরেক্টর হননি। বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁর নাম গৃহীত হলেই তিনি পূর্ণ ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হবেন।
সংস্থার পরিচালন পর্ষদে রাজ্যের চতুর্থ সদস্য হিসেবে পার্থবাবুর নাম ওঠার পর থেকেই চেয়ারম্যান হিসেবেও তাঁর নাম নিয়ে জল্পনা চলেছে। এ দিন বৈঠক শেষে তাঁর বক্তব্য সেই জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে।
পার্থবাবু বলেন, “হাল ধরতে পারি। তবে স্থায়ী ভাবে নয়। মূল রোগটাকে ধরতে হবে। আর সেটা শুধু মালিকানার প্রশ্ন নয়। সংস্থাকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে চালাতে হবে। রাজ্যের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখেই তা করতে হবে।” চেয়ারম্যান পদে পার্থবাবুর নাম প্রসঙ্গে পূর্ণেন্দুবাবুও ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। মহাকরণে বৈঠক শেষে এ প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ হলে তো ভালই হয়।”
কিন্তু শিল্পমহলের জল্পনা পরিচালন পর্ষদে চেয়ারম্যান পদ ঘিরে অংশীদারদের ঐকমতের জায়গা এখনও তৈরি হয়নি। ২০০৪-’০৫ আর্থিক বছর থেকে সংস্থার লাভ-ক্ষতির হিসেব পরিচালন পর্ষদের অনুমোদনের জন্য দাখিল করা হয়নি। এ দিনের বৈঠকের কার্যবিবরণীতে এটাও অন্যতম প্রধান বিষয়। ঋণের দায়ে জর্জরিত সংস্থাটিতে টাকা ঢালতে রাজি ঋণদাতারা। শর্ত একটাই। রাজ্য সরকারকে সংস্থার পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিতে হবে। ঋণদাতাদের সঙ্গে দু’বার বৈঠকের পরে অন্তত রাজ্যের দাবি তাই। অন্য দিকে চ্যাটার্জি গোষ্ঠীও সংস্থার পূর্ণ অধিকার ছাড়তে নারাজ। এ দিনের বৈঠক তাই কি বার্তা বহন করবে তা দেখতে আগ্রহী শিল্পমহল। |
|
|
|
|
|