পুলিশি টহলদারিতে কোলাঘাটে সেতু নির্মাণের কাজ ফের শুরু
পুলিশি টহলদারির মধ্যে শনিবার থেকে ফের কোলাঘাটে রূপনারায়ণের উপরে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হল।
এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। প্রকল্প এলাকায় আসেন জাতীয় সড়ক সংস্থার পদস্থ কর্তারা। সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাঁরা খুশি। এসডিপিও (উলুবেড়িয়া) শ্যামলকুমার সামন্ত বলেন, “সেতু নির্মাণের কাজ যাতে কোনও ভাবে বিঘ্নিত না হয়, তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে।”
সেতু নির্মাণের কাজে দলীয় সমর্থকদের নিতে হবে, শুক্রবার এই দাবিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশ প্রকল্প এলাকায় এসে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ভয় পেয়ে শ্রমিকেরা পালিয়ে যাওয়ায় ওই দিন দুপুর থেকে সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যে ঠিকাদার সংস্থা কাজটি করছে, তাদের পক্ষ থেকে বাগনান থানায় যে ৬ জনের নামে হামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়, তাঁরা সকলেই দেউলটি এলাকার তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত।
নিজস্ব চিত্র।
তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাগনান-২ ব্লকের ওড়ফুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের শ্রীকান্ত সরকার। ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে সমস্যার কথা জানানো হয় প্রশাসনের নানা মহলেও। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তিনি যে শুক্রবার প্রকল্প এলাকায় গিয়েছিলেন, তা মেনে নিয়েও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্রীকান্তবাবু। তাঁর দাবি, “ওই ঠিকাদার সংস্থা স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের কাজে না-নিয়ে বেছে বেছে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের অনেককে কাজ দিয়েছে। সংস্থাকে বলেছিলাম, আমাদেরও কিছু দলীয় কর্মীকে কাজে নিতে হবে। এ নিয়েই সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য শুক্রবার প্রকল্প এলাকায় যাই। কাউকে মারধর বা কাজ বন্ধ করা হয়নি। থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।”
প্রকল্পে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বেছে বেছে কাজ দেওয়া হয়েছে, প্রধানের এই দাবি মানতে চাননি ঠিকাদার সংস্থার কর্তারা। সংস্থার অন্যতম কর্তা জয়শঙ্কর সিংহ বলেন, “দক্ষ কাজের জন্য অন্য রাজ্য থেকে শ্রমিক আনা হয়েছে। বাকি শ্রমিকদের এই এলাকা থেকেই নেওয়া হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক রং দেখা হয়নি।”
শুক্রবারই ঘটনার কথা জানতে পেরে তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছিলেন, উন্নয়নের কাজে কোনও ভাবে বাধা দেওয়া হলে তা বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। শনিবার অরূপবাবু জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের সমস্যায় দলের কেউ জড়িয়ে না-পড়েন, তা সুনিশ্চিত করতে জেলার কয়েক জন দলীয় বিধায়ককে নিয়ে তিনি শীঘ্রই আলোচনায় বসবেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.