|
|
|
|
সিপিএম নেতা খুনে হাজতে তৃণমূল কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে এক সিপিএম নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতারের পর এক তৃণমূল কর্মীকে নিজেদের হেফাজতে নিল পুলিশ। ধৃতের নাম প্রফুল্ল পাত্র। বাড়ি বাঘাস্তি পঞ্চায়েতের দীপা গ্রামে।একশো দিনের প্রকল্পে কাজ পাওয়া নিয়ে ওই গ্রামে সিপিএম-তৃণমূল বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের আবহেই গত রবিবার সকালে খুন হন সিপিএমের শাখা সম্পাদক বিমল সেনাপতি। ওই সিপিএম নেতা চাষের কাজে মাঠে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁর উপর চড়াও হয় একদল তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। বেধড়ক মারধর করা হয় বিমলবাবুকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ফেলা যাওয়া হয় গ্রামেরই একটি পুকুরের ধারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নেতাকে উদ্ধার করে কেশিয়াড়ি ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নেতা খুনের প্রতিবাদে গত সোমবার ১২ ঘণ্টার কেশিয়াড়ি বন্ধের ডাক দিয়েছিল সিপিএম। ঘটনার রাতেই বিমলবাবুর ভাই নির্মল সেনাপতি পুলিশের কাছে ২৫ জন তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। শেষমেশ শুক্রবার প্রফুল্ল পাত্র নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার তাঁকে মেদিনীপুরের সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ৩ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। কেশিয়াড়ি ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগদীশ দাসের অবশ্য দাবি, “প্রফুল্লকে সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|