যাক বাবা! বাঁচা গেল। আর পেট গুড়গুড় করবে না। হৃদরোগেরও আশঙ্কা নেই। গত এক বছরে সচিনের সব আউট হতাশ করেছে সবাইকে। সবার মুখে তখন একটাই জিজ্ঞাসা, “সচিনের কী হল বলুন তো?” এই সব প্রশ্নের সামনে চাপে পড়েছে স্বয়ং সচিনও। এক বার ওর জুতোয় পা গলিয়ে দেখুন। দেখবেন, ওর মনে ওই সময়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন তা হলে কি আমি আর পারছি না? আমি কি বুড়ো হয়ে গেলাম? বিশ্বাস করুন, সচিন সাঙ্ঘাতিক কঠিন অবস্থার মধ্যে কাটিয়েছে। ভীষণ একা। যেন জীবনটা থমকে দাঁড়িয়েছিল। এর জন্যই তো সেঞ্চুরির পর ও বলে ফেলে, পঞ্চাশ কেজির বোঝা নেমে গেল।
ওর সঙ্গে দেখা হলেই বোঝা যেত কোথাও সেই অস্বস্তির প্রশ্নটা ঘুরছে শততম সেঞ্চুরির। মনে হয় অন্যদেরও এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। শেষের এই পদক্ষেপ তাই মোটেই সহজ ছিল না। জিনিয়াস বলেই ও উতরে দিয়েছে।
সেঞ্চুরির পর সচিন ব্যাট দিয়ে ছুঁয়েছিল হেলমেটের তেরঙাটা। অবশ্যই ও নিজের জন্য মোটিভেটেড হতে পারে। কিন্তু ও চায় ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতি হোক। ওর প্রতিভার থেকে ধৈর্য কোনও অংশে কম নয়। ২২ বছর অপেক্ষা করেছে বিশ্বকাপের জন্য। ভিড়ের আড়াল থেকে পাথর ছোড়া খুব সহজ। কিন্তু সচিনের মতো জীবনের একটা দিন একটুও না কেঁপে কাটানো ভীষণই কঠিন।
এখন প্রশ্ন, এ বার কী? আমার মনে হয়, ও এখনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা চালিয়ে যেতে পারে। এবং অনেকের থেকেই এগিয়ে থেকে। না হলে ও এত দিন খেলাটা চালাত না। সচিন গর্বিত, বুদ্ধিমান মানুষ। নিজেকে খেলো করে ফেলবে না। আমাদের কিন্তু এখনও ওর বদলি কেউ তৈরি নেই। তবে খুব তাড়াতাড়ি ওয়ান ডে-কে ও ‘বাই-বাই’ বলতেই পারে। ওর তো আর কিছু প্রমাণ করার নেই। নতুন করে কিছু পাওয়ারও আছে কি? কিন্তু সেটা ও-ই ঠিক করুক। ওই ভাল জানে ওর জন্য এবং দেশের জন্য কোনটা ঠিক হবে। |