কলকাতা থেকে অফিস গুটিয়ে নিল হিন্দুস্তান মোটরস।
কারখানা প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই কলকাতার বিড়লা হাউসে ওই সংস্থার কর্পোরেট অফিস ছিল। কিন্তু সেই অফিস উত্তরপাড়ায় হিন্দমোটরের কারখানায় সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ওই অফিসে যে সমস্ত পদস্থ কর্তা এবং অফিসাররা ছিলেন, তাঁরা এ বার থেকে হিন্দমোটরের কারখানাতেই বসবেন। কলকাতার আর এন মুখার্জি রোডে বিড়লা হাউসের দশ তলায় কোম্পানির অফিস ছিল। অন্তত চার হাজার স্কোয়ার ফুটের অফিসটির অর্ধেক অংশ বছর দু’য়েক আগে বিড়লা গোষ্ঠীরই অন্য এক প্রতিষ্ঠানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বার, পাকাপাকি ভাবে কলকাতার অফিস হিন্দমোটর কারখানায় তুলে নেওয়া হচ্ছে। কলকাতার ওই অফিসে কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর-সহ অধিকাংশ পদস্থ কর্তারা বসতেন।
এ বিষয়ে সংস্থার এক কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “কারখানার অফিস স্থানান্তরের ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে এখনই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছি না।” রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, “বিষয়টি আমি শুনলাম। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
বহু দিন ধরেই হিন্দমোটরে উৎপাদনের হার নিম্নমুখী। শ্রমিকদের পাওনাগণ্ডার বকেয়া অঙ্কও লাফিয়ে বেড়েছে। তা নিয়ে শ্রমিক-বিক্ষোভ, বন্ধ, সব কিছুরই মুখোমুখি হয়েছে এক সময়ে দেশের গাড়ি শিল্পের অগ্রণী সংস্থাটি। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই ধাপে ধাপে কর্মীসংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু তাতে হাল ফেরেনি। এর আগে হিন্দমোটরের একাংশ অন্য একটি সংস্থাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। কারখানার জমি বিক্রি নিয়ে বিতর্ক হিন্দমোটরের চৌহদ্দি ছাড়িয়ে রাজ্য রাজনীতির আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে।
কলকাতা থেকে অফিস সরিয়ে নেওয়ায় অবশ্য এখনই কোনও ‘অশনি সঙ্কেত’ দেখছেন না জেলার পোড়খাওয়া সিটু নেতা সুনীল সরকার। তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি বিষয়টি জানি। কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের আর্থিক ভার লাঘব করতেই কলকাতা থেকে অফিস হিন্দমোটরে নিয়ে আসছেন।” |