রাতে বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল সমর্থক এক যুবককে কুপিয়ে জখম করল দুষ্কৃতীরা। কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। জখম যুবকের নাম গৌতম দে। জেলা সদর এমজেএন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। আচমকা বাড়ির অদূরে রাস্তা আটকে কয়েকজন সিপিএম সমর্থক তাঁর উপর ভোজালি নিয়ে হামলা চালায়। ওই ব্যক্তির চিৎকার শুনে গ্রামেরই কিছু লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালায়। পরে গ্রামবাসীরাই তাকে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন । বৃহস্পতিবার রাতেই কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান জখম ওই যুবকের স্ত্রী রানি দে। পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসে জেলার খাগরাবাড়িতে তৃনমূলের অঞ্চল সভাপতি শরৎচন্দ্র রায়কে দুষ্কৃতীরা বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় গুলি চালিয়ে খুন করে। ওই থানারই পুঁটিমারী-ফুলেশ্বরী এলাকায় ফজলে হক নামে দলীয় সমর্থক গুলিবিদ্ধ হন। দুটি ঘটনাতেই বাম নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। খাগড়াবাড়ির ঘটনায় সিপিএমের এক জোনাল সম্পাদক গ্রেফতার হন। পুঁটিমারি-ফুলেশ্বরী এলাকার ঘটনার জেরে ফরওয়ার্ড ব্লকের এক সমর্থককে গ্রেফতার করে। তবে সিদ্ধেশ্বরীর ঘটনায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েননি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পরিকল্পিতভাবে হামলা হচ্ছে। সিদ্ধেশ্বরীর ঘটনাও সিপিএমের মদতপুষ্টরা ঘটিয়েছে।” তৃণমূলের কোচবিহার-২ ব্লক সভাপতি পরিমল বর্মন অবশ্য বলেন, “প্রায় দু’বছর আগে এক সিপিএম সমর্থকের বিরুদ্ধে আত্মীয়ার শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানান গৌতমবাবু। তারা মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছিল। সুবিধে করতে না পারায় ওই সিপিএম কর্মীরাই হামলা করে বলে সন্দেহ হচ্ছে। সিপিএমের বাণেশ্বর লোকাল সম্পাদক জীবেন্দ্র দেবসিংহ বলেন, “সিপিএমের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত নয়। ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। প্রতিবেশীদের বিবাদের জেরে গোলমাল হয়। তৃণমূল রাজনীতি করছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিতে তৃণমূলই ষড়যন্ত্র করছে।” |