কাজ শুরু হয়নি তুরতুরি বাগানে |
চুক্তি হলেও ডুয়ার্সের তুরতুরি চা বাগানের স্বাভাবিক কাজ শুরু হয়নি। গত মঙ্গলবার শিলিগুড়ি যুগ্ম শ্রম আধিকারিকের দফতরে অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ১৫ মার্চ কুমারগ্রাম ব্লকের ওই বাগান খোলার সিদ্ধান্ত হয়। মালিকপক্ষ বাগান খুললেও চুক্তি পরিবর্তনের অভিযোগ তুলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়নি। তাঁদের অভিযোগ, ত্রিপাক্ষিকে যে চুক্তি হয় সেখানে কোনও শ্রমিককে অস্থায়ী করার প্রস্তাব নেই। বুধবার চুক্তির যে কপি পৌঁছয় তাতে ২১ বছর আগে যারা জমি দিয়ে বাগানের কাজে যোগ দিয়েছে তাঁদের অস্থায়ী করার কথা উল্লেখ রয়েছে। বকেয়া পাওনা নিয়ে বিবাদের জেরে ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর কর্তৃপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে যান। বিপাকে পড়েন সাড়ে ৫০০ শ্রমিক ও কর্মী। বাগান খোলার জন্য পরপর তিনটি ত্রিপাক্ষিক হলেও অচলাবস্থা কাটেনি। ফের মঙ্গলবার বৈঠক হয় যুগ্ম শ্রম আধিকারিকের দফতরে। বৈঠকে জটিলতা মেটায় খুশির আবহ তৈরি হয়। কিন্তু চুক্তি পরিবর্তনের খবর ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার থেকে ফের শ্রমিকরা দ্রুত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকে বিষয়টি সমাধানের দাবি জানান। প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের তরফে বিনয় মিন্জের ক্ষোভ, “বৈঠকে বকেয়া পাওনা তিন ধাপে পরিশোধের সিদ্ধান্ত হলেও মালিকপক্ষ চুক্তিপত্রে ৪৪ জন শ্রমিককে অস্থায়ী করার কথা ঢুকিয়ে দেয়।” তৃণমূল টি প্ল্যানটার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজু লামা বলেন, “ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কাজে যাননি। দ্রুত বিষয়টি সমাধানের দাবি জানিয়েছি।” একই দাবি সিটু নেতৃত্বের। শিলিগুড়ির যুগ্ম শ্রম আধিকারিক মহম্মদ রেজুয়ান বলেন, “বৈঠকে ঠিক হয় মালিকপক্ষ চলতি আর্থিক বছরে বকেয়া তিন ধাপে পরিশোধ করবেন।”
|
ক্ষোভের মুখে পুর চেয়ারম্যান |
নতুন পুর ভবনের উদ্বোধন করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সিপিএমের ধূপগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, পুর ভবনের কাজ শেষ না করেই দফতরের উদ্বোধন করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সরিয়ে দেয়। জলপাইগুড়ির ডিএসপি দমন কর্মকার বলেন, “বিক্ষোভ হলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার কোনও আঁচ পড়েনি। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।” পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুরসভার দফতর সরিয়ে শহরের মাঝে ফালাকাটা-ধূপগুড়ি সড়কের পাশে আনার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএম পরিচালিত ধূপগুড়ি পুরসভা কর্তৃপক্ষ। ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ওই ভবনটির কাজ দ্রুত কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গুড্ডু সিংহ বলেন, “ভবনের পুরো কাজ শেষ না করে যেভাবে সস্তা রাজনীতি করতে তড়িঘড়ি অফিসটি উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।” ধূপগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান সত্যরঞ্জন ঘোষ বলেন, “পুরসভার উন্নয়নের ধারা দেখে তৃণমূল নেতারা বিপাকে পড়ে গিয়েছেন। সস্তার রাজনীতি করছেন তৃণমূল নেতারা। ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। তবে এখনই দফতর স্থানান্তরিত হচ্ছে না।”
|
ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ে ‘কালার লক’ টেকনোলজির ব্যবহারের পদ্ধতি ও তার সুফল নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল। বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি হোটেলে জেকে পেপার লিমিটেডের উদ্যোগে ওই কর্মশালা হয়। সেখানে খুচরো বিক্রেতাদের সঙ্গে ডিস্ট্রিবিউটররা হাজির ছিলেন। ওই টেকনোলজির ব্যবহারে কাগজের ছাপার মান কতটা উন্নত হয় তা নিয়ে আলোচনা হয়। সংস্থার এক কর্তা বলেন, “কালার লক টেকনোলজির ব্যবহারের তৈরি কাগজে প্রিন্টিংয়ের মান অনেক উন্নত। সে কথাই সবাইকে জানাতে কর্মশালার আয়োজন করা হয়।”
|
প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর দাবিতে প্রাইমারি স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দিল ডিওয়াইএফ। শুক্রবার বিকালে সংগঠনের দার্জিলিং জেলা কমিটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে নিয়োগের কয়েক হাজার ফর্ম জমা পড়লেও নিয়োগ হয়নি। তাদের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে আন্দোলন নামা হবে। |