শিলিগুড়িতে ভাষা দিবস উপলক্ষে একাধিক অনুষ্ঠান হয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের ব্যবস্থাপনায় রামকিঙ্কর হলে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেব। উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক হরেন ঘোষ ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের মহকুমা আধিকারিক জগদীশ রায়। সঙ্গীত পরিবেশনায় ছিল ‘উজান’। সেখানে উর্মি দাস, বিজয় সাহা সহ শিল্পীরা গান পরিবেশ করেছেন। তা ছাড়াও গান করেছেন মৌকণা মুখোপাধ্যায়, সত্যিজিৎ মুখোপাধ্যায়, দোলনচাঁপা মজুমদার। নৃত্যাঙ্গণ, নৃত্যছন্দম ও সুরঙ্গনার শিল্পীরাও অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা এনেছেন। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সুদীপ চৌধুরী, নির্মল চক্রবর্তী, নির্মলেন্দু দাস সহ অনেকেই। আবৃত্তি পরিবেশন করেন অঘোর ভট্টাচার্য, মিতালি বিশ্বাস, পার্থপ্রতিম পান সহ অন্যান্য শিল্পীরা। উত্তাল নাট্যগোষ্ঠীর পলক চক্রবর্তীর পরিচালনায় ভিন্ন স্বাদের শ্রুতি নাটক পরিবেশন করেছেন। গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ, স্বর-শ্রুতি, ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘ, নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি, নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্মিলিত উদ্যোগে ২১ ফেব্রুয়ারি বাঘা যতীন ক্লাবে ওই অনুষ্ঠান হয়। সেখানে ‘আ-মরি বাংলা ভাষা’ শীর্ষক গীতি আলেখ্য পরিবেশিত হয়। তাতে অংশগ্রহণ করেন সুবীর ভট্টাচার্য, জয়তী ভট্টাচার্য, চৈতালী গোস্বামী, আনন্দ শিকদার সহ অনেকেই। কবিতা ও গানের কোলাজে ছিলেন অমিতাভ ঘোষ, মিলি ভট্টাচার্য, অতসী দাশগুপ্ত। কুন্তল ঘোষ আবৃত্তি পরিবেশন করেছেন। সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায়, চঞ্চল চক্রবর্তী ও অন্যান্য শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। স্বর-শ্রুতির পক্ষ থেকে ছিলেন অমিতাভ কাঞ্জিলাল সহ একাধিক শিল্পী। তবলায় বাসু ভট্টাচার্য। বাংলা ভাষা, ভাষাদিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন সঞ্জীবন দত্ত রায়।
|
১০ ও ১১ মার্চ শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে দুদিন ধরে নাট্যোৎসব হল। আয়োজন করেছিল শিলিগুড়িরই ইঙ্গিত নাট্য সংস্থা। প্রথম দিন হরিমাধব মুখোপাধ্যায়ের নাটক ‘অনিকেত’ মঞ্চস্থ হয়। কুশীলবদের মধ্যে ছিলেন সলিল কুমার কর, বিজয় নন্দী, মান্তু মজুমদার, শৈবাল মজুমদার। মহিলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন চম্পা ভট্টাচার্য, সোমা ভট্টাচার্য ও পারমিতা বিশ্বাস। রুচি চরিত্রে পারমিতা বিশ্বাস ভট্টাচার্যের অভিনয় দর্শকদের মন কেড়েছে। আনন্দ ভট্টাচার্যের পরিচালনা ও ভিডিও প্রক্ষেপণও দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছে। দ্বিতীয় দিনে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ-এর মূল রচনার ভিত্তিতে হরিমাধব মুখোপাধ্যায়ের নাটক-সঙ্গীত-পুনর্লিখন ও নির্দেশনায় ‘পীরনামা’ মুগ্ধ করেছে। নাট্যপ্রেমীর মন কাড়েন নির্মলেন্দু তালুকদার, ভস্কর দাস, রতন ঘোষ, রেবা বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী নাথ।
|
বিশ্ব কবিতা দিবসের প্রাক্কালে ২০ মার্চ শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছে ‘স্বর ও শ্রুতি’। উত্তরবঙ্গের বাচিক শিল্পীদের ওই সংগঠনের তরফে আয়োজিত ‘মননের ধ্রুবপদ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। ১২ বছর ধরে তাঁরা শিলিগুড়ি, ডুয়ার্স উত্তরবঙ্গে নানা এলাকায় অনুষ্ঠান করে চলেছেন। সম্প্রতি ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদারকে সংস্থা সংবর্ধনা দিয়েছে। ২০ মার্চের অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ির খুদে আবৃত্তি শিল্পীরা অংশ নেবে। সেখানে ‘থার্ড পার্সন প্লুরাল নম্বর’ শীর্ষক একটি শ্রুতি নাটক হবে। বাচিক শিল্পীরা মেঘনাদ বধ কাব্য উপস্থাপনা করবেন। অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা সংযোজন করতে আনা হচ্ছে বাউল শিল্পী লক্ষ্মণ দাসকে।
|