|
|
|
|
স্কুলছাত্রকে খুনের চেষ্টা করে বন্ধুরাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলুড় |
প্রেমঘটিত বিবাদে বেলুড়ের স্কুলপড়ুয়া দীপঙ্কর হালদারের ঘাড়ে-মাথায় অস্ত্রের কোপ মেরে খুনের চেষ্টা করেছিল তারই কয়েক জন বন্ধু। শুক্রবার তাদের দু’জন, বেলুড় সুভাষপল্লির বাসিন্দা পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে রবি ও অভিষেক রায় ওরফে ভুটানকে গ্রেফতারের পরে এমনটাই দাবি করল পুলিশ।
এ দিন বালি থানায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা। এনআরএসে ভর্তি দীপঙ্করের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারীরা। হাওড়া সিটি পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) রশিদমুনির খান বলেন, “প্রেমঘটিত বিষয়ে দীপঙ্করের সঙ্গে ঝামেলার জেরে আরও কয়েক জনকে নিয়ে এই কাণ্ড ঘটায় পলাশ। অভিষেক এই পরিকল্পনার কথা জানত।” তিনি আরও জানান, ঘটনার সময়ে রাজু ও বিশু কর্মকার নামে আরও দু’জন পলাশের সঙ্গে ছিল বলে দীপঙ্কর পুলিশকে জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে বেলুড় মঠ লাগোয়া কল থেকে জল আনতে যাচ্ছিল দীপঙ্কর। নির্জন নিচু শেখ লেনে রাজু, বিশু ও পলাশ তার পথ আটকায়। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দীপঙ্করকে আঘাত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দীপঙ্কর বেলুড় পঞ্চাননতলা মহেন্দ্র বিদ্যাপীঠের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। ওই স্কুলেরই এক ছাত্রীর সঙ্গে পলাশের ৫ বছর ধরে ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। কয়েক মাস আগে দীপঙ্করের সঙ্গে তার সহপাঠী, ওই ছাত্রীটির ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। পুলিশ জানায়, বন্ধুর সঙ্গে প্রাক্তন প্রেমিকার সম্পর্ক মানতে পারেনি পলাশ। তাই মাঝে মধ্যেই সে দীপঙ্করকে প্রাণে মারার হুমকি দিত। ঘটনার আগের দিন, বুধবার রাতেও সে হুমকি দেয়। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, রাজুর প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে দীপঙ্করের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুরও ইদানীং সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই নিয়েও দীপঙ্করের সঙ্গে বিবাদ চলছিল পলাশ, রাজুদের। পুলিশের অনুমান, এর জেরে পলাশরা খুনের পরিকল্পনা করে। রশিদমুনির খান বলেন, “ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে আনা হচ্ছে। রাজু ও বিশুর খোঁজে তল্লাশি চলছে।” |
|
|
|
|
|