|
|
|
|
ট্রেনে লুঠপাটের দায়ে পাঁচ দুষ্কৃতীর কারাদণ্ড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
চার বছর আগে একটি ট্রেনের মহিলা কামরায় যাত্রীদের মারধর এবং লুঠপাটের দায়ে পাঁচ দুষ্কৃতীকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ডের সাজা দিল চুঁচুড়া আদালত। শুক্রবার ওই আদালতের প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক শ্যামলকুমার বিশ্বাস ওই রায় দেন। বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে এক জনকে আরও দু’বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ জানায়, সাজাপ্রাপ্তদের নাম শেখ নাসির, বাবাই নস্কর, সানি গোস্বামী, সুভাষ গোস্বামী এবং বাবাই হালদার। সকলেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা। সানি গোস্বামীর কাছে অস্ত্রশস্ত্র ছিল। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
২০০৮ সালের ২৫ এপ্রিল দুপুরে আপ শিয়ালদহ-রামপুরহাট প্যাসেঞ্জারে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রের খবর, ট্রেনটি শিয়ালদহ থেকে ছাড়ার সময়েই ওই পাঁচ দুষ্কৃতী তাতে উঠেছিল। মগরায় তারা মহিলা কামরায় ওঠে। ছুরি, ভোজালি উঁচিয়ে মহিলাদের উপর তারা চড়াও হয়। সকলকে গয়নাগাটি খুলে দিতে বলে। বিউটি বারুই নামে এক মহিলা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাঁর হাতে ভোজালির কোপ বসিয়ে দেয় এক দুষ্কৃতী। ১০-১২ জন মহিলার গলার হার, কানের দুল, আংটি, চুরি, ঘড়ি, টাকা ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। ট্রেনটি পাণ্ডুয়া স্টেশনে ঢোকার মুখে তারা লাফিয়ে নেমে পালাতে থাকে। তখন ওই কামরার মহিলা যাত্রীরা চেঁচামেচি শুরু করে দেন। হইচই শুনে পালাতে থাকা এক দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। যাত্রীদের অভিযোগ পেয়ে ব্যাণ্ডেল জিআরপি এবং পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ তদন্তে নামে। ওই সন্ধ্যাতেই আরও এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। উদ্ধার হয় লুঠ হওয়া সামগ্রী। এর পরে রেল পুলিশ ক্যানিং থেকে বাকি ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
সরকার পক্ষের আইনজীবী কালীপ্রসাদ সিংহরায় বলেন, “আক্রান্ত মহিলারা অপরাধীদের শনাক্তও করেন।” এ দিন আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট বিউটিদেবী। তিনি বলেন, “পুলিশ-প্রশাসনের উপরে আস্থা বাড়ল।” |
|
|
|
|
|