ধামাইলকে জনপ্রিয় করে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন। প্রথমে দু’দিনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে ১৭ ও ১৮ মার্চ শিলচরে। পরে একই ধরনের কর্মশালা হবে করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দিতে। সে সবের ডকুমেন্টেশন, রিপোর্ট ইত্যাদি দেখে স্থির করা হবে পরবর্তী কার্যক্রম। সব মিলিয়ে ধামাইল নিয়ে বিভিন্ন এলাকার বিস্তৃত চর্চা এবং এর তাত্ত্বিকীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বরাক উপত্যতার এই সংগঠনটি।
এ জন্য বরাক উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলের ধামাইল দলগুলিকে আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকরা। কোন সময়ে কোন আঙ্গিকে নাচতে হয় তা দলবদ্ধ ভাবে নেচে-গেয়ে দেখিয়ে দেবেন তাঁরা। সঙ্গে সংগীত-নৃত্যের বিশেষজ্ঞ ও সংগঠকরা থাকবেন শহুরে প্রশিক্ষার্থীদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। মোট দশটি ধামাইল দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মধ্যে আটটি কাছাড় জেলার। করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলা সমিতিকেও বলা হয়েছে একটি করে দল পাঠাতে। সংগঠনের তরফে জানা গিয়েছে, তিন জেলার তিন ধামাইল শিল্পীকে সংবর্ধিতও করা হবে সেখানে।
বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কাছাড় জেলা সমিতির সম্পাদক দীপক সেনগুপ্তের অভিমত, অসমিয়াদের বিহুর মতো বাঙালিদের কোনও লোকনৃত্য নেই। বরাক-সুরমা উপত্যকা-সহ বাঙালিপ্রধান বিভিন্ন অঞ্চলে ধামাইল অতি জনপ্রিয় হলেও তা ক্রমেই হারিয়ে যেতে বসেছে। গানের সুরের বিকৃতি নিয়েও অভিযোগ বাড়ছে। তাই তাঁদের লক্ষ্য, ধামাইলের শাশ্বত রূপকে খুঁজে বার করা। এতে লোকসাহিত্যের নতুন দিকও উন্মোচিত হতে পারে বলে আশা করছেন তৈমুর রাজা চৌধুরী, সঞ্জীব দেবলস্কর, দীনেন্দ্রনারায়ণ বিশ্বাসরা। সম্মেলনের শিলচর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি বিভাসরঞ্জন চৌধুরী বলেন, ধামাইলে রয়েছে উল্লেখযোগ্য সম্প্রীতির বার্তাও। রাধাকৃষ্ণের প্রেম নিয়ে তৈরি অধিকাংশ গানেরই রচয়িতা হলেন ‘হাছন রাজা’ যিনি মুসলমান কবি। |