স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই। কোনও স্কুলে আবার নতুন বিভাগ চালুর পর কয়েক বছর কেটে গেলে অনুমোদিত শিক্ষক পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। কোনও স্কুলে আবার একটি বিষয়ের শিক্ষক আছেন একজনই। এতে ক্লাস চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বহু পদ খালি পড়ে থাকায় এমনই নানা সমস্যায় জেরবার হচ্ছেন কোচবিহার জেলা শহরের জেনকিন্স, সুনীতি অ্যাকাডেমি, ইন্দিরাদেবী, সদর গভর্নমেন্টের মত চারটি সরকারি স্কুলের তিন হাজারেরও বেশি পড়ুয়া। সমস্যা মেটাতে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল প্রভাবিত স্টেট গভর্নমেন্ট স্কুল টিচার অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। পরিস্থিতি সামলাতে স্থায়ী শূন্যপদ পূরণের আগে সাময়িক ভাবে অতিথি শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব রাজ্য শিক্ষা দফতরে পাঠিয়েছেন জেলাশাসক মোহন গাঁধী। ডিএম পদাধিকার বলে ওই চারটি স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতিও। জেলাশাসক বলেন, “ওই স্কুলগুলির স্থায়ী শিক্ষকের সংখ্যা কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি রাজ্য শিক্ষা দফতরে জানানো হয়েছে। আপাতত অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করে সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে।” কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলের স্থায়ী শিক্ষকের ১৮ পদ খালি পড়ে রয়েছে। সুনীতি অ্যাকাডেমির ১০টি স্থায়ী শিক্ষিকার পদ খালি। কোচবিহার সদর গভর্নমেন্ট স্কুলে শিক্ষক পদ খালি ৭টি। প্রায় ১০ বছর ধরে স্থায়ী প্রধান শিক্ষকের পদটিও ফাঁকা। ইন্দিরাদেবী গার্লসে প্রধান শিক্ষিকা-সহ শিক্ষিকার পদ খালি রয়েছে ১২টি। ইন্দিরাদেবী গার্লস স্কুলে ইংরেজি, ভূগোল, ইতিহাস, অঙ্কের জন্য একজন করে ৪ জন শিক্ষিকা আছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ ছুটি নিলে স্কুলের ক্লাস চালানো সমস্যা হচ্ছে। ২০০৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হলেও জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা নেই। দর্শন বিভাগের পদটিও শূন্য। সদর গর্ভমেন্ট স্কুলেও দর্শন, সংস্কৃত, অঙ্কের শিক্ষক পদ শূন্য। বাংলা ও ইংরেজি ক্লাস চলছে মাত্র ২ জন শিক্ষক দিয়ে। জেনকিন্স ও সুনীতি অ্যাকাডেমিরও একই হাল। স্টেট গর্ভমেন্ট স্কুল টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ আসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি বিজন সাহা বলেন, “সরকারি স্কুলে পিএসসির মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হয়। ৪টি স্কুলের পরিসংখ্যান নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছি। আগের রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় স্কুলগুলির এই হাল হয়েছে।” |