দুঃস্থদের জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার আবেদনপত্রের দাম কমানোর দাবিতে অধ্যক্ষের ঘরে ভাঙচুর চালালেন একদল উত্তেজিত ছাত্র। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ইসলামপুর কলেজে। ভাঙচুরের সময়ে অধ্যক্ষ উতথ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ইসলামপুর কলেজের মহকুমাশাসকের দফতরে ফর্মের দাম কমানোর বিষয় নিয়েই বৈঠক করছিলেন। উত্তেজিত ছাত্ররা অধ্যক্ষের ঘরের বেশ কিছু চেয়ার টেবিল ভেঙে দেন। পুলিশ গিয়ে ছাত্রদের অধ্যক্ষের ঘর থেকে বার করে দিলে তাঁরা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। সেখানেও পুলিশ গিয়ে ১৪ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করে জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। ছাত্ররা পুলিশের একটি গাড়িও ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ইসলামপুর থানার আইসি সমীর পাল জানান, জাতীয় সড়ক অবরোধ করায় ওই ছাত্রদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নামে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহকুমাশাসক সমনজিৎ সেনগুপ্ত বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের ফর্মের দাম কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা বুঝতে না-পারায় সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে।” ছাত্রদের অভিযোগ, পরীক্ষার ফর্মের দাম ধরা হয়েছে ৮৭০ টাকা। বহু দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে ওই টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। প্রতি বছর দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের ফর্মের দাম কমানো হয়। ফর্মের দাম কমানোর দাবিকে কেন্দ্র করেই প্রথম পর্যায়ে ফর্ম ফিলআপ হয়নি। তার পরেও এ বার দাম কমানো না-হওয়ায় ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হস্তক্ষেপে এদিনই ওই কলেজের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ শুরু হয়। নির্দিষ্ট সময়ে ফর্ম ফিলআপ না-হওয়ায় প্রথমে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ফর্ম ফিলআপ করতে দিতে আপত্তি জানান। আন্দোলনের জেরে শিক্ষামন্ত্রী হস্তক্ষেপ করে ফর্ম ফিলআপের জন্য তিনদিন সময় দেন। তার পরেও দাম না কমানোর কথা চাউর হেলে ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কলেজের ছাত্র সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মানিক ব্যাপারী বলেন, “শিক্ষা দফতরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা মেটাতে পেরেছি। ৩ দিন সময় পেয়েছি ফর্ম জমা করার। ফর্মের দাম না-কমায় কিছু ছাত্র উত্তেজিত হয়ে পড়েন।” ছাত্র পরিষদ নেতা এহসানুল হক জানান, ফর্মের দাম কমবে জেনে কিছু ছাত্র এমন করে। তবে ঘটনাটি আমরা সমর্থন করি না। |