|
|
|
|
রাজাভাতখাওয়া-জয়ন্তী রেলপথ |
নয়া প্রস্তাবে খুশি ডুয়ার্সে |
নারায়ণ দে • আলিপুরদুয়ার |
কেন্দ্রীয় রেল বাজেটে রাজাভাতখাওয়া থেকে জয়ন্তী বনবস্তি পর্যন্ত রেলপথের প্রস্তাবে খুশি ডুয়ার্সের বাসিন্দারা। রেল সূত্রের খবর, বৃটিশ আমলে শুরু হওয়া আলিপুরদুয়ার-জয়ন্তী রেলপথ ৮০ দশকে বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বন্দি করে বক্সাদূর্গে নিয়ে যাওয়া ছাড়াও পরে ডলোমাইট পরিবহণের কাজে ব্যবহার করা হত ওই রেলপথ। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ১৫ কিলোমিটার রেলপথটি পরে তা নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায়। মমতা বন্দোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় এই রেলপথ পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেন। বুধবার রেল বাজটে রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী রেলপথ ফের চালুর কথা বলার পর ডুয়ার্সে পর্যটনে আরও বিকাশ ঘটবে বলে মনে করছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়ও। বিধায়ক বলেন, “রাজাভাতখাওয়া থেকে জয়ন্তী রেলপথ চালু হলে পযর্টনের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। রেল মন্ত্রক ও রাজ্য সরকার যৌথ উদ্যোগে দ্রুত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বলে আমাদের আশা।” দেবপ্রসাদবাবু জানান, আমবাড়ি-ফালাকাটা থেকে নিউ-কোচবিহার পযর্ন্ত ডবল লাইন করার প্রস্তাব রেলমন্ত্রীকে দিয়েছিলাম। তিনি তা বাজেটে রেখেছেন। এতে আলিপুরদুয়ার রেল ডিভিশন আবার ঘুরে দাড়াবে। তবে রেল বাজেট পাশ না হওয়ার আগে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। ভারতীয় রেলের যাত্রী পরিষেবা কমিটির চেয়ারম্যান জোয়াকিম বাক্সলা বলেন, “আলিপুরদুয়ার থেকে জয়ন্তী হয়ে রেলপথ আবার বাজেটে অনুমোদন পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পযর্টন বিকাশে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে এলাকায় কর্মসংস্থানের পাশাপাশি পযর্টনের বিকাশ ঘটবে।” রেল দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, ১৯০০ সালে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে তৎালীন অসম রেলওয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে জয়ন্তী পযর্ন্ত ট্রেন চালানোর জন্য বিনে য়সায় জমি নেয়। সেই সময় মিটারগেজ লাইনে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলত। পরে নানা কারণে ১৯৮৬ সালে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। লাইনটিও তুলে নেয় রেল। ২০০৮-০৯ সালে রেলের আইআরটিসি রাজাভাতখাওয়া-জয়ন্তী রেলপথ নিয়ে সমীক্ষা চালায়। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের তরফেও সমীক্ষা চালানো হয়। বহু বছর পরে এই রেলপথ পুনরায় অনুমোদন পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি রেল কর্মী থেকে পযর্টন ব্যাবসায়ী সকলেই। ডুয়ার্সের পযর্টন ব্যবসায়ী বিপ্লব দে বলেন, “রেলপথটি চালু হলে পযর্টন মানচিত্রে নতুন ভাবে জায়গা পাবে জয়ন্তী। ট্রেনে করে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়ার রোমাঞ্চটাই অন্যরকম।” জয়ন্তী গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্য বলেন, “রেল পুনরায় এই ঐতিহাসিক রেলপথটি চালুর সিধান্ত নিয়েছে। এতে জয়ন্তী তথা ডুয়ার্সের পযর্টন আরও বৃদ্ধি পাবে।” রেলপথটি চালু হলে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের আয় বাড়বে বলেই মনে করছেন ডিভিশনের রেলওয়ে কর্মী সংগঠন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের বিভাগীয় সম্পাদক বিজন দেবরায়। |
|
|
|
|
|