দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ভাগ নিয়ে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনায় ‘অসামঞ্জস্য’ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলল রাজনৈতিক দলগুলি। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে জেলাশাসকের ডাকা সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলও সেই অভিযোগের বিরোধিতা করেনি বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলার পাঁচটি মহকুমা ভেঙে আলিপুর, বারুইপুর ও ক্যানিংকে নিয়ে একটি এবং ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ মহকুমা নিয়ে আর একটি জেলা গঠনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলিপুরে এ নিয়ে প্রথম সর্বদলীয় বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জেলাশাসক নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, “আলোচনার রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।” আলিপুর মহকুমার ৪৮টি ওয়ার্ড কলকাতা পুরসভার অধীন। গত বছর ১ সেপ্টেম্বর থেকে মহকুমার অধিকাংশ এলাকা কলকাতা পুলিশেরও অধীনে এসেছে। অর্থাৎ, আলিপুরের অধিকাংশ এলাকাই কলকাতা শহরের মধ্যে পড়ছে। সেই কারণে আলিপুরকে নতুন প্রস্তাবিত জেলায় রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। তা ছাড়া, আলিপুর, বারুইপুর ও ক্যানিং মহকুমা নিয়ে যে জেলা গঠনের প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে, সেখানে থাকছে ২০টি বিধানসভা কেন্দ্র। অন্যটিতে ১১টি। এখানেও রাজনৈতিক দলগুলির অসামঞ্জস্যের অভিযোগ রয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী, তৃণমূলের জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায়, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাশগুপ্ত-সহ অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা। কোনও নেতাই এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকার জেলা গঠনের প্রক্রিয়া স্পষ্ট করলে তা নিয়ে ফের তারা আলোচনায় বসতে পারে বলে জেলাশাসককে জানানো হয়েছে।
|
ট্রাক্টর চালকের কানে মোবাইল, মৃত্যু বালকের |
মোবাইল ফোন কানে এক ট্রাক্টর চালকের রেষারেষিতে প্রাণ গেল এক বালকের। বৃহস্পতিবার সকালে বাদুড়িয়ার শায়েস্তানগরের ধাবকপাড়া এলাকায় ওই দুর্ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ জনতা ওই ট্রাক্টরটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অন্য একটি ট্রাক্টরকেও পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় মৃত বালকের নাম কাইয়ুম সর্দার (১২)। তার বাড়ি স্বরূপনগরের বাংলানি গ্রামে। কাইয়ুম তার মামার কাছে বাজিতপুর গ্রামে থাকত। বাদুড়িয়ার কাটিয়াহাটে একটি গ্যারাজে কাজ করত সে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্যারাজ মালিক ফজলুল অহিদ গাজির মোটরবাইকে চেপে এ দিন কাইয়ুম কাজে যাচ্ছিল। পিছনে আসা দু’টি ট্রাক্টরের সঙ্গেই ইট বোঝাই ট্রলি লাগানো ছিল। দু’টি ট্রাক্টরের মধ্যে রেষারেষিও চলছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রথম ট্রাক্টরটির চালক মোবাইলে কথা বলছিলেন। সেই ট্রাক্টরের ধাক্কায় ফজলুল মোটরবাইক নিয়ে ছিটকে পাশের পুকুরে গিয়ে পড়েন। রাস্তায় ছিটকে পড়া কাইয়ুমকে পিষে দেয় ট্রাক্টরটি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এর পরেই আশপাশের লোকজন খেপে ওঠে। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে ট্রাক্টরের আগুন নেভায়। ফজলুলকে বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’টি ট্রাক্টরেরই চালক-খালাসি পলাতক।
|
শোভাযাত্রা, কৃষকদের কিষাণ ক্রডিট কার্ড বিলি, বার্ধক্যভাতা প্রদান-সহ নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বুধবার কৃষক দিবস পালিত হল। পরিচালনায় ছিল সন্দেখখালি-২ ব্লকের সহ কৃষি আধিকারিকের দফতর। এ দিন সকালে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, শস্য বিমা বিষয়ে ট্যাবলো ছিল শোভাযাত্রায়। আয়লা পরবর্তী সময়ে কী ভাবে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নত মানের চাষ করে ফসল ফলানো সম্ভব তা নিয়ে ছিল আলোচনা চক্র।
|
বাড়ির কাছে রাস্তায় গুলি করে খুন করা হল এক প্রোমোটারকে। বুধবার রাতে, সোদপুরে। মৃতের নাম বিশ্বনাথ দেব (৩৮)। পুলিশ জানায়, ওই রাতে বিশ্বনাথবাবু মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার সময়ে চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। তাদের মধ্যে এক মহিলাও ছিল। প্রথমে তারা বিশ্বনাথবাবুকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। তার পরে তিনটি গুলি করে। দু’টি গুলি লাগে বিশ্বনাথবাবুর বুকে। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানায়, বিশ্বনাথবাবুর বিরুদ্ধেও অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ আছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা না ব্যবসায়িক কারণে এই খুন, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। |