বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার কাটিয়াহাট এলাকায় পোলতা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম পাপিয়া মণ্ডল (১৮)। মেয়েকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে মৃতার বাবার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ স্বামী সাগর মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার তাঁকে বসিরহাটে এসিজেএমের আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পাপিয়া মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পোলতা গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার বাসিন্দা পাপিয়ার সঙ্গে বছর দুই আগে গ্রামেরই মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা সাগরের বিয়ে হয়। পাপিয়াদেবীর বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়েতে চাহিদামতো যৌতুক দেওয়া সত্ত্বেও শ্বশুরবাড়িতে পাপিয়াদেবীকে অশান্তি সহ্য করতে হত। পাপিয়াদেবীর বাবা সিদ্ধার্থ বিশ্বাসের অভিযোগ, জাহাজে কাজ করা জামাই প্রায়ই মদ খেয়ে মারধর করতে মেয়েকে। মাস ছয়েক আগে ওদের একটি মেয়ে হয়। নাম রাখা হয় দিয়া। মেয়ে হওয়ার পরে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। জামাইকে বোঝানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি।”
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দিয়ার জন্য ষষ্ঠীপুজোর অনুষ্ঠান ছিল বাড়িতে পাপিয়াদেবীর বাপের বাড়িতে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক সপ্তাহ আগে কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন সাগরবাবু। বুধবার বিকেলে মেয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যান সিদ্ধার্থবাবু। তিনি জানান, গিয়ে দেখেন মেয়েকে বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানায়, পাপিয়া গলায় দড়ি দিয়েছে। পরে চিকিৎসক এসে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরে মেয়েকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে সিদ্ধার্থবাবু জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও সাগরবাবুর বক্তব্য, তাঁর স্ত্রী জেদি স্বভাবের ছিলেন। সামান্য ঘটনাতেই উত্তেজিত হয়ে পড়তেন। বুধবার সকালে সামান্য কথাকাটিতে উত্তেজিত হয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। |