স্টেশনে ট্রেন প্রায়ই ঢোকে দেরিতে। বৃহস্পতিবারও তেমনটাই ঘটেছিল। উত্তেজিত জনতা দু’টি ট্রেনে ভাঙচুর চালায়। চালক, গার্ডদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। হামলা চালানো হয় স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে। ভাঙচুর চালানো হয় সেখানে। ম্যানেজারকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। হাড়োয়া স্টেশনে এই ঘটনার জেরে হাসনাবাদ-বারাসতের মধ্যে সকাল ৮টা থেকে ঘণ্টা খানেক ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ৩৩৫১৬ ডাউন হাসনাবাদ-শিয়ালদহ ট্রেনটি সকাল ৭.৩৫ মিনিট নাগাদ হাড়োয়া স্টেশনে ঢোকার কথা। যাত্রীদের অভিযোগ, আপ ট্রেনের জন্য সিগন্যাল না পেয়ে ডাউন লাইনের ট্রেনটি প্রায়ই আধ ঘণ্টা, পঁয়তাল্লিশ মিনিট দেরিতে ঢোকে হাড়োয়া স্টেশনে। এই স্টেশনে টিকিট কাউন্টার মাত্র একটি। অফিস টাইমে তা নিয়েও ক্ষোভ আছে নিত্যযাত্রীদের।
এ দিনও ট্রেনটি খানিক ক্ষণ দেরিতে ঢোকে প্ল্যাটফর্মে। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ট্রেন লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোড়েন। সে সময়ে আপ ৩৩৩১৩ বারাসত-হাসনাবাদ ট্রেনও ঢুকছে স্টেশনে। ওই ট্রেনের দিকেও উড়ে যায় ইট। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেখে স্টেশন ম্যানেজার খবর দেন দেগঙ্গা থানায়। রেল কর্তৃপক্ষ ও জিআরপি-র সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। এ দিকে, অফিস যেতে দেরি হচ্ছে দেখে নিত্যযাত্রীদের অনেকে হামলাকারীদের শান্ত করার চেষ্টা চালান। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
প্যাসেঞ্জার ইউনিয়নের সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, হাড়োয়ায় দিনের পর দিন ট্রেন লেটের ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেককে। একটি মাত্র কাউন্টার থাকার ফলেও সমস্যা হয়। এ দিন যাত্রীদের বিক্ষোভের কথা মেনে নিলেও কাউকে মারধর করা হয়েছে বলে স্বীকার করেননি তিনি। এ বিষয়ে স্টেশন ম্যানেজার বিপ্লব ভক্ত বলেন, “আমার ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। চেয়ার-টেবিল উল্টে ফেলে সরকারি সম্পত্তি তছনছ করা হয়েছে। আমাকে মারধর করে বিক্ষোভকারীরা। দু’টি ট্রেনের চালক-গার্ডরাও প্রহৃত হয়েছেন। ট্রেন দু’টির বেশ কিছু জানলার কাচ ভেঙেছে।” ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট সব মহলে জানানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। |