জিয়াগঞ্জ পুরসভা এলাকার মরিচাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়াদের মাথার উপর অবশেষে চার দশক পর ছাদ জুটল। বুধবার তিনতলার নব নির্মীত ওই ঘর গুলির দ্বারোদ্ঘাটন করেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভপতি সাগির হোসেন। তিনি বলেন, “সদিচ্ছা ও প্রচেষ্টা থাকলে অসাধ্যসাধন করা সম্ভব। তারই ফের আর এক বার দৃষ্টান্ত তুলে ধরলেন মরিচাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সর্বশিক্ষা মিশন থেকে ১১০০ বর্গ ফুট আয়তনের ঘর তৈরির জন্য মোট ৭ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকার সঙ্গে ওই স্কুলের শিক্ষকরা নিজেদের থেকে আরও কিছু টাকা দিয়ে মোট ২৩০০ বর্গ ফুট আয়তনের দু’টি বিশাল হলঘর তৈরি করেন। ওই শিক্ষকরা এই ভাবে সততা ও সদিচ্ছার নজির গড়লেন।” জিয়াগঞ্জ পুরসভার ৪ নম্বর বেগমগঞ্জ ওয়ার্ডে ১৯৭৩ সালে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করা হয়। তার পর ১৯৮০ সালে বিদ্যালয়ের সরকারি অনুমোদন মেলে। সেখানে ৬ শতক জমির উপর দোতলা ভবন নির্মান করা হয়। গত বছর শিক্ষক দিবসে ওই বিদালয়ের প্রধানশিক্ষক নাড়ুগোপাল চট্টোপাধ্যায়-সহ মুর্শিদাবাদ জেলার মোট ৪ জনকে সরকারি ভাবে আর্দশ শিক্ষক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। নাড়ুগোপালবাবু বলেন, “মরিচাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৬টি সেকশানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সাড়ে চারশোরও কিছু বেশি। কিন্তু এতদিন শ্রেণিকক্ষ ছিল মাত্র ৪টি। ফলে ২টি শ্রেণির ছাত্রছাত্রীর মাথার উপর আচ্ছাদন ছিল না। অবশেষ ৭ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা সরকারি অনুদান পাওয়া যায়। তার সঙ্গে যুক্ত হয় আমাদের ৭ জন শিক্ষকের দেওয়া টাকা। ওই সম্মিলিত তহবিল যথাযথ ভাবে খরচ করায় অনুমোদিত আয়তনের দ্বিগুন আয়তনের ঘর তৈরি করা সম্ভব হয়।” |